গাইবান্ধায় ছাত্রীকে গণধর্ষণ: ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:২০

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ নেতার ছেলে সোহাগ মিয়াসহ পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন আসামিকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর চাচা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে সাদুল্যাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এলাকায় বিক্ষোভ ও সোহাগের বাবা যুবলীগ নেতা দুদু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে।

শনিবার অর্ধদিবস হরতালও পালন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

মামলার আসামিরা হলেন, নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক দুদু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া। নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হামিদ গ্রামের মাহাফুজ রহমানের ছেলে বাবু মিয়া, পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম, একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া ও দশানি গ্রামের শাহেদুলের ছেলে খুশু মিয়া এদের মধ্যে সোহাগ, বাবু ও শরিফুলকে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে বিক্ষুব্ধরা। অপর দুই আসামি রুবেল ও খুশু মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।

নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন জানান, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে তার মার সাথে কাপড় কিনতে নলডাঙ্গা বাজারে যায়। বাজারে কাপড় কেনার পর সন্ধ্যার দিকে মা তার মেয়েকে বাড়ি ফিরতে বলে নিজে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। ওই শিক্ষার্থী তখন একা পায়ে হেঁটে বাড়ি রওনা হয়। পথে নলডাঙ্গা সরকারী খাদ্য গুদাম এলাকায় সোহাগ তার পথরোধ করে। অন্য সহযোগী শরিফুল, বাবু, রুবেল ও খুশু ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী ইক্ষু ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার ও ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল এবং বাবুকে হাতেনাতে আটক করে। পরবর্তীতে নলডাঙ্গা রেল গেট এলাকায় তার দোকান থেকে সোহাগকে আটক করে এলাকাবাসী।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, নলডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আরও দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজনের মধ্যে বাবু ও শরিফুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :