শীতে রোগী নিয়ে হিমশিত খাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল

আরিফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা
 | প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:২৯

শীত বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত হয়ে সব বয়সী মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গত এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী। যাদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্য দিনরাত কাজ করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা। ইতোমধ্যে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খোলা হয়েছে নতুন ডায়রিয়া ওয়ার্ড।

সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম অবশ্য বলছেন, পরিস্থিতি সম্পন্ন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স স্বল্পতার পরও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের আমরা সাধ্যমত সেবা দিচ্ছি।

গত কয়েকদিন থেকেই শীত জেঁকে বসেছে এই অঞ্চলে। তীব্র শীতের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত কমেই চলেছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই সূযের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এই অবস্থায় শীতজনিত নানা রোগ যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। যাদের অধিকাংশই শিশু।

সদর হাসপাতাল সূত্র বলছে, শীত বাড়ার সাথে সাথে শীতজনিত রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। যাদের অধিকাংশই হচ্ছে বয়স্ক ও শিশু রোগী। প্রায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ৭০ জন করে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া বহির্বিভাগে রোগীর চাপ তো আছেই। যারা একটু অল্প আক্রান্ত তারা বহির্বিভাগে চিকিৎসাপত্র নিয়েই বাড়িতে ফিরছেন। এমন রোগীর সংখ্যাও গড়ে প্রতিদিন একশোর উপরে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, গত এক সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৫ শতাধিক রোগী। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের। দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে আমাদের। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলনের মতে, হাসপাতালে আসা রোগীদের বেশির ভাগই কোল্ড ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী। তিনি জানান, সাধারণত শীত মৌসুমে এই রোগবালাইয়েল পার্দুভাব দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে শিশুদের প্রতি মায়েদের বাড়তি সর্তকতা বাড়ানোর পরামর্শ এই চিকিৎসকের।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :