নিখোঁজরা ফিরলে তদন্তে আগ্রহ দেখায় না পুলিশ

আশিক আহমেদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৭:৫৫

রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়ার পর ফিরে আসার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত আর আগায় না। ফলে কারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি একটির ঘটনাতেও।

ফিরে আসা কেউ জানাতে পারেনি তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার কেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই কারণটিও এখনও স্পষ্ট নয়।

যারা ফিরে এসেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত তিন জন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে একাধিক ব্যক্তি আবার কোনো ধরনের বক্তব্য দিতেও রাজি হননি।

আর নিখোঁজ হয়ে ফেরার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানা অজুহাতে তদন্ত এগিয়ে নেয় না। ফলে আলোচিত ঘটনাগুলোর রহস্য কোনোভাবেই উন্মোচন হচ্ছে না। এটি কোনো একটি গোষ্ঠীর কাজ নাকি, প্রতিটি ঘটনাতেই আলাদা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত, সে প্রশ্নেরও জবাব নেই।

আবার ফিরে আসার পর মামলা করার ক্ষেত্রেও ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

গত ৭ অক্টোবর নিখোঁজ হন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোবাশ^ার হাসান সিজার। প্রায় ৭০ দিন পর তিনি ঘরে ফেরেন।

ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর বাবা মোতাহার হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওর নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। কারণ আমরা তো কাউকে চিনি না, সুতরাং কার বিরুদ্ধে মামলা করব? আর সিজারও কাউকে চেনে না। আমরা ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কিন্তু সে কিছুই বলতে পারেনি।’

সিজারের অন্তর্ধানের বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে এই ঘটনায় করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর কবির খাঁন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি তিনি আমাদের এলাকা থেকে নিখোঁজ হননি। সুতরাং এ ঘটনায় আমাদের এখন আর কিছু করার নেই। তিনি যদি কোন আইনি প্রতিকার পেতে চান তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা সংশ্লিষ্ট আদালতে যেতে হবে।’

তাহলে এ ঘটনা অনুসন্ধান করার দায়িত্ব কাদের- এমন প্রশ্নে জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঠিক আছে। তবে প্রত্যেকেরই একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ওই সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে সবকিছু করা তাদের পক্ষে সব সময়ে সম্ভব হয়ে ওঠে না।’

গত চার মাসে ঢাকা থেকে যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের মধ্যে চার জন ফিরেছেন, দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সবগুলো ক্ষেত্রেই খোঁজ পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।

নিখোঁজের ঘটনাগুলো প্রায় একই রকম

নিখোঁজের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে আবার কীভাবে কারা তুলে নিয়ে গেছে, সেটাও জানা যায়নি।

আবার যারা ফিরে এসেছেন, তারা ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা মোটামোটি একই রকম। আবার ফিরে আসার ঘটনাগুলোও একই রকম। নির্জন স্থানে রাতে বা ভোরে চোঁখ বেঁেধ কোনো এক জায়গায় তাদের রেখে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার সময় কারও মোবাইল ফোন থাকলে ফেরত দেয়ার সময় সে ফোনটিও সঙ্গে দেয়া হয় তাদের। এমনকি সেই ফোনে চার্জও থাকে। আর সেই ফোনেই তারা যোগাযোগ করেন স্বজনদের সঙ্গে।

সম্প্রতি ফিরে আসা সাংবাদিক উৎপল দাস ও শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান সিজার দুইজনই বলেছেন, তাদেরকে মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার মাইক্রো বাসে করেই নামিয়ে দেয়া হয়। তবে দুজনই জানিয়ছেন, তারা ধরে নিয়ে গেছেন, আর কারা দিয়ে গেছেন, তার কোনোটাই তারা দেখতে পারেননি।

তবে এই দুই জন তাও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আড়াই মাসেরও বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর ১৭ নভেম্বর বাসায় ফিরেছেন ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায় তাও বলেননি। কেবল একটি জাতীয় দৈনিক অনেক চেষ্টার পর তার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিল। অবশ্য বাড়ি ফেরার পর তিনি গণমাধ্যমকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন।

তদন্তে পুলিশের অনীহা

ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ নিখোঁজ থাকার সময় কোথায় ছিলেন, কেন তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল, কারা নিয়ে গিয়েছিল, তা অনুসন্ধানে কোনো চেষ্টাই করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায় চাচ্ছেন না তাঁর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তদন্ত হোক তাই আমরা আর জিডির তদন্ত করছি না।’

তাহলে এই রহস্য বের করার দায়িত্ব কার-এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খুঁজে বের করার দায়িত্ব। তবে আমরাও চেষ্টা করছি।’

এরও আগে ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিককে তুলে নেয়ার ঘটনারও কোনো কূল কিনারা হয়নি।

এই বিষয়ে সে সময় তোলপাড় হয়েছিল। আর ৩৪ ঘণ্টা পর সিদ্দিককেক চোখ বাঁধা অবস্থায় মিরপুরে ফেলে যাওয়া হয়। এ সময় তার পকেটে তিনশ টাকাও গুঁজে দেয় অপহরণকারীরা।

ওই ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে জানতে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন কিছু বলতে পারেননি। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তখন এখানে ছিলাম না। এই মামলার ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না। আপনি ঘণ্টাখানেক পর ফোন করুন, আমি জেনে রাখছি।’ কিন্ত এক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোন করা হলেও কামাল উদ্দিন ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্দিকের স্ত্রী বেলার পরিবেশ আইনজীবী সমিতি ‘বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বন্যা বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি এই মামলায় এখনও কোন প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়নি পুলিশ।’

৭০ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ফেরা সাংবাদিক উৎপল দাসের অন্তর্ধানের তদন্তেও একইভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে না পুলিশ।

উৎপলের পরিবার তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করলেও এ নিয়ে মামলা করতে এখন তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

উৎপলের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠান পূর্বপশ্চিমবিডি এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করা হয়েছিল মতিঝিল থানায়। তখন সে ডিজি ধরে তদন্তের দাবিও করেছিল পুলিশ।

কিন্তু উৎপল ফিরে আসার পর তার সঙ্গে গিয়ে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। কেবল ফোনে কথা বলেছে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য।

জানতে চাইলে মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রাব্বানী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যে এলাকা থেকে উৎপল দাস অপহরণ হয়েছিলেন সেটা আমাদের এলাকা নয়। তবুও আমরা আমরা উৎপল দাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সাধারণ ডায়েরি দুইটির তদন্ত হবে।’

বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এলিনা খাঁন মনে করেন আলোচিত নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে পুলিশের অনীহা রহস্যজনক। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, যে সব মানুষকে তুলে নেয়া হয়েছে, তাদেরকে ব্যক্তিগত কোন শত্রু অপহরণ করলে এভাবে ছেড়ে দিত না, তাদের কাছে মুক্তিপণ আদায় করত। কাজেই এটা ধারণা করার যৌক্তিক কারণ আছে যে, এটা কোনা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ। আর যেহেতু এভাবে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা আছে, তাই এ বিষয়ে একটি সমন্বিত তদন্ত দরকার। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ঘটনা যেমন আলাদা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি সবগুলো ঘটনা নিয়েও আলাদা একটি অনুসন্ধান কাজ হতে পারে।’

অপহরণ বা নিখোঁজের ঘটনায় জিডির তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তো নানা ঘটনা নিয়ে দায়িত্ব এড়াতে চাওয়ার বিষয়টি জানালে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘এই রহস্য অনুসন্ধান করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রধান নিজে উদ্যোগী হয়ে আদেশ দিতে পারেন। বা সরকারের পক্ষ থেকেও তদন্তের আদেশ হওয়া উচিত।’

নিখোঁজ কত

কত মানুষ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে হংকংভিত্তিক এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) ও দেশীয় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৯৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ৫২ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ফিরে এসেছেন ১৯৫ জন। এখনও নিখোঁজ ১৪৮ জন।

অবশ্য এই সংস্থা দুটির প্রতিবেদন নিয়ে নানা সময় বিতর্ক আছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে ব্যাপক প্রাণহানি নিয়ে অধিকারের প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। ৬২ দিন পর ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে উদ্ধার হন তিনি। ১২ মে তিনি মেঘালয় ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রী হাসিনা খানকে ফোন করেন।

মেঘালয়ের গলফ গ্রিন এলাকায় ঘোরাঘুরির সময় সে দেশের পুলিশ তাকে আটক করে। ওই সময় তাকে অপ্রকৃতিস্থ মনে হচ্ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার গণমাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে সাক্ষাৎকার দেয়া দেন তানভীর আহমেদ ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ রাতে তিনি নিখোঁজ হন। পাঁচ দিন পর তাকে উদভ্রান্ত অবস্থায় বিমানবন্দর সড়কে হাঁটতে দেখে পুলিশ বাড়ি পৌঁছে দেয়।

একই বছরের ৪ আগস্ট সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী পুরান ঢাকার আদালতপাড়া থেকে নিখোঁজ হন। সাত মাস পর তিনি বাড়ি ফেরেন।

হদিস নেই যাদের

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী। এখনও ফেরেননি তিনি।

২০১২ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরা থেকে সিলেটের ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমেদ ও জুনেদ আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তেজগাঁও থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলামসহ ছয় জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

একইদিন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আরও দুই জনকে।

সবশেষ ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিদেশ থেকে আসা মেয়েকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে ধানমন্ডির বাসা বের হয়ে নিখোঁজ হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিক মারুফ জামান। তারও কোনো খোঁজ মিলছে না।

নিখোঁজের এক ঘটনা ‘বানোয়াট’

তবে নিখোঁজের ঘটনা বানানোর অভিযোগও এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আাসদুজ্জামান খাঁন কামাল একাধিকবার বলেছেন, অনেকে নানা কারণে আত্মগোপনে থাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়ার ১৯ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার হয়েছেন প্রাবন্ধিক ও কবি ফরহাদ মজহার। তবে পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে তিনি নিখোঁজ বা অপহৃত হননি। এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেম ছিল এবং তার জন্য টাকা যোগাড় করতেই তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। আর স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিতেই অপহরণ নাটক জানান।

ফরহাদ মজবার যেদিন অপহৃত হয়েছিলেন বলে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল, সেদিন খুলনায় মার্কেটে তার একা ঘুরে বেড়ানো, একটি দোকান থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। এ ছাড়া তিনি যে হোটেলে খাবার খেয়েছেন, সেই হোটেল মালিক আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি যে বাস কাউন্টার থেকে টিকিট কিনে ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন, সেই কাউন্টার ব্যবস্থাপকও আদালতে এসে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। আর মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে ফরহাদ মজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিতে যাচ্ছে পুলিশ।

ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশে আসছে চীন আর্মি, নজর রাখছে ভারত

বাংলাদেশে বৃষ্টির নামাজের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান

রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস

উপজেলা নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ইসির

‘পৃথিবীর কোনো দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি পারফেক্ট নয়’  

ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহার বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ

কৃষির সব স্তরে উন্নত প্রযুক্তি আবশ্যক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়: রাষ্ট্রদূত

চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :