শেবাচিম হাসপাতালে আইসিইউ বন্ধের উপক্রম

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:২৩

চিকিৎসক সংকটের কারণে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সেখানকার একমাত্র চিকিৎসক নাজমুল হুদাকে পদোন্নতি দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করায় এই সংকট সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকদের পর্যায়ক্রমে দায়িত্বে রেখে আইসিইউ সচল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বদলে অ্যানেসথেসিস্ট চিকিৎসক দিয়ে আইসিইউতে থাকা মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যাচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই স্বীকার করেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৩ জুলাই হাসপাতালের নিচতলায় আইসিইউ বিভাগের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তখন আইসিইউর একমাত্র চিকিৎসক ছিলেন নাজমুল হুদা। এছাড়া ১৩ সিনিয়র নার্স ও চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে আইসিইউতে পদায়ন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইসিইউতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-সেবিকাসহ অন্য কর্মচারী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে গত চার মাসে নতুন কোনো চিকিৎসক নিয়োগ হননি, বরং একমাত্র চিকিৎসক নাজমুল হুদাকে পদোন্নতি দিয়ে পটুয়াখালী হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল হুদা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতি পেয়ে তিনি পটুয়াখালী হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তার বদলির পরে আইসিইউতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ওই কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ফলে মুমূর্ষু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

আইসিইউর ইনচার্জ নার্স ফরিদা বেগম জানান, ডা. নাজমুল হুদা পটুয়াখালীতে যোগদান করার পর এ বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসক নেই। ফলে শেবাচিমের আইসিইউর রোগীরা এখন সেবিকাদের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. এবিএম কাদির বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে একমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই আইসিইউ রয়েছে। ১০ শয্যা বিশিস্ট এ ওয়ার্ডটি সচল রাখতে সব শাখায় দক্ষ জনবল দরকার। অভিজ্ঞ চিকিৎসক যিনি ছিলেন, তিনি পদোন্নতি পেয়ে বদলি হয়েছেন। তাকে চলতি দায়িত্বে এখানে ফের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :