ঢাকার কোচিং সেন্টারের পিয়নকে চাঁদপুরে গলাকেটে হত্যা

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচো সাহেব বাজার এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ (১৮) নামের যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাহেব বাজার সড়কের পাশের ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আসাদ উপজেলার ৩নং কালচোঁ ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। নিহত আসাদ রাজধানী ঢাকার সদরঘাট শাখার বিসিএস কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের পিয়ন হিসেবে চাকরি করতেন।

কালচোঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক হোসেন প্রধানিয়া জানান, শনিবার দিনগত রাতে নিজ বাড়িতে অন্য যুবকদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন আসাদ। এ সময় তাদের ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য কর্ক প্রয়োজন হলে পাশে সাহেব বাজারে তাকে টাকা দিয়ে পাঠানো হয়। অনেক সময় পার হলেও তিনি আর বাজার থেকে ফিরেননি। খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরে সকালে বাজারের পাশের রাস্তায় মুখে টেপ পেচানো গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে হত্যা করে।

রাজাপুর বাজারের রিহান স্যানেটারীর মালিক মনির বলেন, ‘আসাদ ও তার সাথে দুই যুবক শনিবার এশার নামাযের পূর্বমুহূর্তে আমার কাছ থেকে একটি ছুরি কিনে নিয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ বলেন, ‘শনিবার বিকালে আসাদ ও ঐ দুই যুবককে একসাথে দোকানের কাছে চলাফেরা করতে দেখেছি। সকালে স্থানীয় কুদ্দুছ বাবুর্চি মাঠের পাশ দিয়ে যাবার সময় আসাদের গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পায়।’

স্থানীয় রাজাপুরা বাজারে সেলুন দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, ‘শনিবার সন্ধ্যায় নিহত আসাদসহ অপরিচিত আরো দুই যুবক সেলুনে এসে শেভ করে। তখন আসাদের বাবার মামাতো ভাই তাদেরকে পরিচয় দিয়েছিল। তাদের বাড়ি দাউকান্দি উপজেলা বলেও পরিচয় দেয়। রবিবার সকালে আসাদের মরদেহ পড়ে থাকলে, লাপাত্তা ওই দুই যুবক।’

নিহত আসাদের বাবা রফিকুল আলম বলেন, ‘দাউকান্দি উপজেলা কোন আত্মীয় স্বজন নেই। ওই দুই যুবকের পরিচয় আমারও জানা নেই। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। আসাদ গ্রামের বাড়িতে গত ১৫ ডিসেম্বর বেড়াতে এসেছিল। সে ঢাকা সদরঘাটের বিসিএস কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের পিয়ন হিসেবে চাকুরী করতো।’ তিনি আরো বলেন, ‘কে বা কাহারা আমার একমাত্র ছেলেকে খুন করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি চাই।’

হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক শাহীদ হোসেন বলেন, ‘আসাদের মৃতদেহের পাশে একটি কস্টিপ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মুখে টেপ লাগিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সূত্রধরে আমরা খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করবো। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহত আসাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :