জনগণের আস্থা ফেরাতে পেরেছি: ইসি সচিব

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:০০ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৮

নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরার দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন।

রবিবার সকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা হলরুমে বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন ইসি সচিব।

২০১৩ সালে বকশীগঞ্জ পৌরসভা গঠনের পর এবারই প্রথম নির্বাচন হচ্ছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর হবে ভোট গ্রহণ। ছয় জন মেয়র প্রার্থী, ৫৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ২১ সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

হেলালুদ্দীন বলন, ‘আমরা রংপুর সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ ইতোমধ্যে কয়েকটি নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা জনগণের আস্থা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।’

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু ভোটে কারচুপি ও সন্ত্রাস ঠেকাতে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা ছিল। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন।

দায়িত্ব নেয়ার পর আগামী জাথীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। সরকারি দল আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার চাইলেও সেটি নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন।

আবার বর্তমান কমিশনের অধীনে দুই সিটি করপোরেশন ছাতাও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন ছাতাও বেশ কিছু উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে। এসব ভোটে তেমন কোনো অভিযোগ উঠেনি।

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়ে জনগণের আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। সেভাবেই কাজ করছে কমিশন।

বকশীবাজারের পৌর নির্বাচন যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু বলে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমদ। বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তবে তার কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শাহীনা বেগম, বিএনপির ফকরুজ্জামান মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর, স্বতন্ত্র প্রার্থী এএম নুরুজ্জামান (জামান), স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাহাদুর ও সোলাইমান হক প্রমুখ এই মত বিনিময়ে বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির প্রার্থী ফকরুজ্জামান মতিনের এক বক্তব্যের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে যদি কোন প্রার্থীর লোকজন ব্যালট বাক্স ভর্তি করাতে চায় তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে ১০ বার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে, তবুও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’

হেলালুদ্দীন বলেন, ‘কোন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কোন কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে তাকে প্রত্যাহার করা হবে।’

জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সভাপতিত্বে ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুঞ্জুরুল আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, জামালপুর ৩৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর (বিজিবি) অধিনায়ক আতিকুর রহমান, র‌্যাব-১৪ এর অধিনায়ক হায়াতুল ইসলাম খান, বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল) আমিরুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :