যিশু এসেছিলেন মানবজাতির ত্রাণকর্তা হয়ে: এলজিআরডিমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যিশু এসেছিলেন মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। হিংসা, বিদ্বেষ, পঙ্কিলতার পথ থেকে মানুষকে উদ্ধার করে তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন ভালোবাসা, করুণা, মিলন ও সুন্দরের পথ। তাই তাঁর জন্মদিন শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য আনন্দবার্তা বয়ে আনেনি, সমগ্র মানবজাতির জন্যই দিনটি আনন্দের।
সোমবার ফরিদপুর ব্যাপটিস্ট চার্চে বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যিশু যে মানবিক আদর্শের বাণী প্রচার করে গেছেন, তা সর্বকালে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর শান্তির বাণী শাশ্বত। যিশুর আহ্বান ও আত্মত্যাগ সব অশুভ ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে। আর্তপীড়িতদের প্রতি তিনি তাঁর শান্তির পরশ বুলিয়ে দিতেন। মতবাদ প্রচারের সময় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন যিশু। কিন্তু কোনো নির্যাতন-নিপীড়নই তাঁকে সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। মানুষকে ভালোবাসার, মানবতাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে গিয়ে তিনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার মতো মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিয়েছেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। এই দেশে সব শ্রেণির-পেশার মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলে সবাই যার যার উৎসব শাস্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছে।’
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার-এ অধিকার বর্তমান সরকার নিশ্চিত করেছে। দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। এ কারণে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারছে।’
তিনি বলেন ‘কোনো ধর্মই মারামারি, হানাহানি সমর্থন করে না। সব ধর্মেই বলা আছে মানবতার কথা, শান্তির কথা, সৌহার্দ্যের কথা। ধর্মে হানাহানির কোনো স্থান নেই। তাই বর্তমান সরকার সব ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চায়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীপুত্র ও প্রধানমন্ত্রী জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু,ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আনম আব্দুছ সবুর, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/জেডএ)