চাঁদপুরে যুবক হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৫৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গলা কেটে আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে শাওন(১৯)কে খুন করার দুই দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুমিল্লা থেকে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরির্দশক শাহীদ হোসেন জানান, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি বড় বাড়ি শাজাহানের ঘর থেকে আসাদুজ্জামান আসাদ ওরফে শাওন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারা হলো, দাউদকান্দি উপজেলার সাদ্দাম হোসেন, তিতাস উপজেলার শেলাকান্দি গ্রামের মুসা ও একই উপজেলার বড়বাড়ির আলাউদ্দিন।

এ ঘটনায় নিহত আসাদের বাবা রফিকুল আলম ২৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামাদের বিবাদী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

রহস্য উদঘাটনের রহস্য জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসাদের সাথে আড্ডা দেয়া তিন যুবকের মধ্যে এক যুবক স্থানীয় খিলপাড়া জাহাঙ্গীরের শ্যালক। ওই জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলে তার শ্যালক সাদ্দাম সম্পর্কে নিশ্চিত হই।

থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, সাদ্দামের স্ত্রী রহিমা খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কৌশলে সহযোগিতা নিয়েছি। ওই স্ত্রীর তথ্য মতে তিনজনকে একই ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাদ্দামের ভাষ্যমতে, ঢাকায় এক সাথে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে তারা চাকরি করত। সেখান থেকে পরিচয়। সাদ্দামের স্ত্রী ও বোনের জামাই জাহাঙ্গীরের বাড়িতে বেড়াতে এসে আসাদের সাথেও দেখা হয়ে যায়। রাতে সিদ্ধান্ত নেয় চুরি করার। স্থানীয় সাহেব বাজার দুইটি দোকানে চুরি করে পরে রাজাপুরা বাজারের আরো একটি দোকানে চুরি করে তারা। তবে মোটা অংকের টাকা না পাওয়ায় আসাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় তিন বন্ধু। আবার এক প্রবাসীর বাড়িতে চুরি করতে গিয়েও পারেনি। এনিয়ে সাদ্দাম আসাদের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাদ্দাম বুকে চাপ দিয়ে বসে আসাদের শরীরে। আলাউদ্দিন দুই পা ধরে রাখে আর মুসা গলাকেটে হত্যা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীদ আরো বলেন, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল দিনে প্রকাশ্যে দাউদকান্দি বাজারে চুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে একজনকে হত্যা করে সাদ্দাম। ওই ঘটনায় দাউদকান্দি থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় সাদ্দাম ছাড়াও মুসা, আলাউদ্দিন আসামি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর সকালে আসাদুজ্জামান শাওনকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের খিলপাড়া মিজি বাড়ির পশ্চিম পাশের মাঠ থেকে গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে খিলাপাড়া গ্রামের বকাউল বাড়ির মো. রফিকুল আলমের ছেলে।

নিহত আসাদ ঢাকা সদরঘাট শাখার বিসিএস কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের পিয়ন হিসেবে চাকরি করত।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :