জামালপুরে কাঠমিস্ত্রির বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:৫৬ | প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:৫২

জামালপুর শহরের কম্পপুর এলাকায় এক কাঠমিস্ত্রির বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে তার বসতভিটা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন অন্যের বাড়ির রান্নাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন ভুক্তভোগী ওয়াহাব আলী।

গত ৫ ডিসেম্বর স্থানীয় প্রভাবশালী সাময়ুন তার লোকজন নিয়ে বসতভিটা থেকে ওই পরিবারটিকে উচ্ছেদ করে। ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

পরে ১১ ডিসেম্বর ওয়াহাব আলীর স্ত্রী রেখা বেগম বাদী হয়ে সায়মুনসহ ছয়জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আদালতে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় সাক্ষীদের আগামীকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে।

মামলা করার পর থেকে সায়মুন ও তার লোকজন কাঠিমিস্ত্রি আব্দুল ওয়াহাবকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকালে জামালপুর প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারটি এক সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহাব অভিযোগ করেন, শহরের কম্পপুর গ্রামের রাস্তার পাশে চরপলিশা মৌজায় তার তিন শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ওই জমির অর্ধেক অংশে চারচালা একটি ঘর এবং বাকি অর্ধেকে একটি টিনের ঘর তুলে কাঠের আসবাবপত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশী সায়মুন ও তার লোকজন তাকে সেখান থেকে উচ্ছেদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছিল। মাঝেমধ্যেই তার কাছে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সায়মুন ও তার লোকজন ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে তার বসতভিটায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার থাকার ঘর ভেঙে ফেলে। কাঠের আসবাবপত্রের দোকানঘরটিও ভেঙে তছনছ করে দেয়। দোকানের দুইটি খাট, একটি সোফা সেট, চারটি আলনা ও অন্যান্য চেয়ার-টেবিল লুট করে নিয়ে যায়। এতে তার তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ওয়াহাব।

ওয়াহাব আলী আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার জমিতে একটি টিনের ঘর উঠিয়ে তার বসতভিটা দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে তিনি তিন শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ২১ দিন ধরে অন্যের বাড়ির রান্নাঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। হামলাকারীরা তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সায়মুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে এলাকায় সালিশি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওয়াহাব মিস্ত্রি জমি ছেড়ে না দেয়ায় তার বাড়ি-ঘর সরিয়ে দিয়ে জমি থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’

ওই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কেন মামলা নেয়নি সে বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিমুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার কাছে কেউ মামলা করতে আসেনি।’ কাঠমিস্ত্রির অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন ওসি।

(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :