গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী’ নিহত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৮ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৫

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কেতু নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, যিনি চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। বন্দুকযুদ্ধের সময় এক পরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর কবরস্থানের কাছে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত কেতু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কেতুকে গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির আব্বাস (অপারেশন) জানান, চুয়াডাঙ্গায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদে কেতু অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান দেয়। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশের একটি দল রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়। কেতুকে নিয়ে পুলিশের দলটি রাত দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের ভালাইপুর মোড়ের একটি কবরস্থানের কাছে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কেতুর সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

প্রায় আধা ঘণ্টা গোলাগুলির এক পর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ হেফাজতে থাকা কেতুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আওয়ালিয়ার রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধের পর সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ছয়টি বোমা ও ছয়টি হাসুয়া উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।

পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, নিহত কেতু চরমপন্থী সংগঠন জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় এক পরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :