পদ্মার জটিলতা নিরসনে সময় লাগবে: কাদের

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৭ | প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৪

পদ্মাসেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে নদীর নিচে মাটির গঠনগত জটিলতার সমাধান করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তারপরও নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

মোট ৪১টি স্প্যান থাকবে দেশের বৃহত্তম এই সেতুতে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মূল প্রথম স্প্যান বসানোর দিন প্রতি মাসে একটি করে স্প্যান বসানোর আশা করা হয়েছিল। সেই হিসাবে এতোদিনে চারটি স্প্যান বসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় স্প্যান বসাতে গিয়ে নদীর তদলেদেশে গভীর কাদার স্তর পাওয়া যায়। আর এই জটিলতার সমাধানে সেতুর নকশায় পরিবর্তন আনার কাজ শুরু হয়।

বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জে মস্তফাগঞ্জ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।

কাদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও আমরা সেই নির্ধারিত সময় রাখতে পারি না। দ্বিতীয় স্প্যান বসতে আমাদের আরও একটু সময় লাগবে, যেটা মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে।’

‘দ্বিতীয়স্প্যান বসার পর সাতদিন থেকে আটদিন পর আরও নতুন স্প্যান বসানো যাবে। এভাবে বসবে আরও ৩৯ টি স্প্যান।’

‘পদ্মা নদী পৃথিবীর আমাজানের মতো একটি নদী, একেবারে অনিশ্চিত একটি নদী’ এমন মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মার নিচে অনেক বেশি অনিশ্চিত পরিস্থিতি। সেখানে গভীরতা মিলিয়ে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। তবে আমাদের টার্গেট আমরা যথা সময়েই শেষ করব।’

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছে সরকার। মূল সেতু নির্মাণের আগেই সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নদী শাসনের কাজ চলছে মূল সেতুর সমান্তরালে।

এখন পর্যন্ত সেতুর সামগ্রিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশ হয়েছে বলেও গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান সেতুমন্ত্রী।

বর্তমান সরকার আসার আগে মুন্সিগঞ্জে ৭৬টি বেইলি সেতু ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এগুলো ভেঙে ৪৪টি স্থায়ী সেতুর কাজ শেষ হয়েছে।

১৯৭৫ সালের পর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ মুন্সিগঞ্জে প্রথম সংসদ সদস্য পায় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এর আগে যারা এমপি ছিলেন, তারা এলাকায় কাজ করেননি কেন?’।

‘যারা ক্ষমতায় ছিল এই ৭৬ টি বেইলি সেতুর একটিও তারা পূর্ণাঙ্গ সেতু হিসেবে তৈরি করেননি এবং কোনো প্রকল্প হাতে নেননি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ৩২টি আছে বাকি। এই সরকারের মেয়াদ কালেই অধিকাংশ ব্রিজের কাজ সমাপ্ত করব। ২০২০ সালের জুনের পর আর কোন বেইলি ব্রিজ থাকবে না।’

আগামী ৬ জানুয়ারি মুক্তারপুর তিনটি ছোট সেতু উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এর আগে শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ী চৌরাস্তার ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে মস্তফাগঞ্জ সেতুর উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।

পরে শ্রীনগর সওজ পরিদর্শন বাংলোর ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন এবং আরও পাঁচটি সেতুর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে গত ছয় মাসে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সেতুর কাজ শেষ করা হয়। এতদিন ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে পারপার করত স্থানীয়রা।

প্রত্যেকটি সেতু ১৮ থেকে ২০ মিটার লম্বা ও সোয়া ১০ মিটার চওড়া। একেকটি সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা।

চলতি বছরের ১৭ জুন সেতুমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের ৩০টি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এর মধ্যে ২৫টির কাজ চলমান। আরও ২০টি সেতু অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।

ঢাকাটাইমস/২৭ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :