এবার নিখোঁজ ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:২০ | প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৫১

বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা নাঈমুল ইসলাম সৈকতকে দুই দিন ধরে খুঁজে পাচ্ছেন না তার স্বজনরা। মঙ্গলবার দুপুর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তিনি।

ওই ব্যাংকারের স্ত্রী তামান্না খান বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় বুধবার দুপুরে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

নাঈমুল ইসলাম সৈকত ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখার একজন কর্মী। তার স্ত্রী ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের সনি সিনেমা হলের পিছনের বাসা থেকে অফিসে যান সৈকত। সেখান থেকে বেলা একটার দিকে তিনি নিকেতন এলাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যান। তার আগে বন্ধু আইএফআইসি ব্যাংকে কর্মরত মিরাজের সঙ্গে ছিলেন সৈকত।

দুপুর দুইটার সময়ে স্বামীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন তামান্না। কিন্তু ফোনটি কেটে দেন সৈকত। এরপর দুপুর আড়াইটার সময়ে একটি ক্ষুদে বার্তা লিখে পাঠান তামান্না। এরপর সৈকতের ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।

এ ঘটনার পরে তামান্ন ব্র্যাক ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়টি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তামান্না।

এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করছেন কি না-এমন প্রশ্নে তামান্না বলেন, ‘কাকে সন্দেহ করব। আামদের কোনো পারিবারিক বা পেশাগত শত্রু নেই, আমরা সাধাসিধে জীবনযাপন করি।’

সৈকতের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে। তার বাবা মৃত নজরুল ইসলাম পূর্বালী ব্যাংকের কর্মরত ছিলেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। দেড় বছর আগে ভালবেসে তামান্না খানকে পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেন সৈকত।

সৈকত বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাম্পফোর্ড ব্যাচালর অফ বিজনেস আর্টস (বিবিএ) এবং ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অফ বিজনেস আর্টস (এমবিএ) সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে যোগ দেন সৈকত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আমাদের সাধ্যমত তদন্ত করছি। তার পরিচিতি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তার পরিবারিক, পেশাগত কোন কারণে নিখোঁজ হয়েছেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজনের নিখোঁজ হওয়ার নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এদের মধ্যে ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়, সাংবাদিক উৎপল দাস এবং শিক্ষক মোবাশ্বাস হাসান সিজার ঘরে ফিরেছেন আড়াই মাসেরও বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর। আর চার মাস নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান।

তবে ৪ নিখোঁজ হওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিক মারুফ জামানের এখনও কোনো হদিস নেই।

ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/এএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :