ভারতীয় অনুদানে হচ্ছে ৩৬ কমিউনিটি ক্লিনিক
ভারতের টাকায় নির্মাণ বাংলাদেশের পাঁচ জেলায় নির্মাণ হবে ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এই উপহার দিচ্ছে প্রতিবেশী দেশটি। একেকটি ক্লিনিকের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। এই হিসাবে ৩৬টি ক্লিনিকে ব্যয় হবে নয় কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে এই কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে ভারতের পার্টনার ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) এর মধ্যে চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই হওয়ায় ক্লিনিকগুলো নির্মাণের জন্য এখন দরপত্র আহ্বান করা হবে। আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আশা করছে সরকার।
ভারত সরকারের পক্ষে প্রকল্প প্রধান নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশের পক্ষে আনোয়ার আলী চুক্তিতে সই করেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। তবে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো আবার চালু করে এবং সেবার পরিধি বাড়ায়। এবার এই ক্লিনিকগুলোর সেবা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের সহায়তায় ক্লিনিকগুলো নির্মাণ হবে জামালপুর, শেরপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়।
এই ক্লিনিকগুলো নির্মাণের জন্য অর্ধেক টাকা হিসেবে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা এরই মধ্যে দিয়েছে ভারত। ক্লিনিকগুলোর নকশাও করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পাঁচ শতাংশ জমির নিবন্ধনও হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দরিদ্র, নাজুক ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষ এসব ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা হয়।
সরকার দেশে মোট ১৮ হাজার ক্লিনিক করতে চায় জানিয়ে মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে ১৪ হাজার ক্লিনিক নির্মাণ হয়ে গেছে। আর প্রতিটি ক্লিনিকে ২৭ রকমের ওষুধ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
ক্লিনিকগুলো থেকে নিয়মিতভাবে মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতক স্বাস্থ্য সেবা, অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, ইডিআই ও এআরআই, পুষ্টি শিক্ষা সেবা দেয়া হয়।
ঢাকাটাইমস/২৮ডিসেম্বর/এমএম/ডব্লিউবি