সৌরবিদ্যুতের আলোয় দূর হলো পাকুন্দিয়ার অন্ধকার

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় লাগানো হয়েছে সৌর বিদ্যুতচালিত সড়কবাতি। এখন সৌরবিদ্যুতের আলোয় আলোকিত এ এলাকার জনপদ।

জনগুরুত্বপূর্ণ ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে এসব সৌরবাতি। এতে একদিকে যেমন পথচারী ও যানবাহন চালকদের চলাচলে সুবিধা হয়েছে, তেমনি চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও কমেছে।

বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে প্রত্যন্ত এলাকায় লাগানো হয়েছে সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি। দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিগুলো শোভা পাচ্ছে এলাকার গ্রামীণ সড়ক, বাজারের মোড়ে মোড়ে। রাতের বেলায় বিদ্যুৎ চলে গেলে এসব সৌরবাতি আলোকিত করে রাখে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি বাজার, হাসপাতাল, থানা প্রাঙ্গণ, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে এমন শতাধিক পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের পোলে এ সৌরবাতি স্থাপন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরো কয়েকটি পয়েন্টে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় সৌরবাতি বসানোর স্থান চি‎িহ্নত করা হয়েছে।

পাকুন্দিয়া পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে রাতের বেলায় যখন বিদ্যুৎ ছিল না, তখন গ্রামীণ জনপদে আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হতো। সৌরবাতি লাগানোর পর আতঙ্ক অনেকাংশে কমে গেছে। গভীর রাতেও সৌরবাতির আলোয় আলোকিত থাকায় সড়ক দিয়ে নির্ভয়ে চলাচল করা যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকালী অটো ও সিএনজিচালকরা জানান, সড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার প্যানেল বসানোর কারণে এখন ছিনতাই-ডাকাতির পরিমাণ কমেছে। ছিনতাইয়ের ভয়ে রাতের বেলায় এসব সড়কে মানুষের চলাচল কমে যেত। এখন অনেকটা নির্ভয়ে গাড়ি চালান তারা।

সৌরবাতি স্থাপনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ.দা.) জালাল আহমেদ জানান, বিদ্যুতের স্বল্পতার বিষয়টি চিন্তা করে সরকার এই ব্যবস্থা নিয়েছে। গ্রামীণ জনপদ আলোয় আলোকিত করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌরবিদ্যুতের সড়কবাতি বসানো হয়েছে। ইডকল মনোনীত প্রতিষ্ঠান ও নির্ধারিত ব্যয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেই গ্রামীণ জনপদে এসব সড়কবাতি বসানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান, উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে এমন পয়েন্টে এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় সৌরবাতি বসানো হয়েছে। প্রকল্পটি আরো বর্ধিত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহ্রাব উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করেন। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্যই টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় বিশেষ উদ্যোগে পাকুন্দিয়া উপজেলার গ্রামীণ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর বিদ্যুতের বাতি বসানো হয়েছে।’ এতে রাতের আঁধারে সৌরবিদ্যুতের আলোয় মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩০ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :