বিচার চাওয়ায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা পুত্রবধূর
পারিবারিক কলহের বিচার চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক বৃদ্ধাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তারই পুত্রবধূ। এ ঘটনায় পুলিশ পুত্রবধূ খাদিজা বেগমকে বাড়ি থেকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের আকন্দ বাড়িতে হত্যার শিকার হন শাশুড়ি রমিজা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সাত বছর আগে শাশুড়ি রমিজার স্বামী শামছুল হক মালি মারা যান। এরপর থেকেই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ি রমিজা বেগমের সাথে পুত্রবধূ খাদিজা বেগমের বিরোধ চলে আসছিল। ছেলে ও ছেলের বউ তাকে খাবার না দেয়ায় ৭ মাস ধরে আলাদা দিন যাপন করে আসছিলেন তিনি। পারিবারিক বিরোধ নিয়ে একমাস আগে ছেলে ইসলাম আকন্দ ও বউমা খাদিজার বিরুদ্ধে স্থানীয় বারবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন রমিজা বেগম। অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের নির্দেশে স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেন। চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে খাদিজা বেগম শাশুড়িকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় শাশুড়ি রমিজা খাতুন এশার নামাজ শেষে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় খাদিজা বেগম দা দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে হত্যা করে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় বৃদ্ধার নাতী সাদিয়া আরিফিন ইভার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেন। ঘাতক খাদিজাকে ঘরে আটকে রাখেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে দিলুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে খাদিজা বেগমকে আসামি করে গফরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন ।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ খাদিজাকে আটক করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০১মার্চ/এমডি/ওআর/ইএস)