সাফল্যের মন্ত্র শেখালেন ঋতুপর্ণা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৫:২৯

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কলকাতার বাংলা ছবির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পশ্চিম বাংলায় এ পর্যন্ত যতজন নায়িকা দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। অভিনয় দিয়ে তিনি নিজের নামের আগে যোগ করেছেন সুপারস্টার শব্দটি। কাজ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তাপস পালের মতো নায়কদের সঙ্গে।

বাংলাদেশের ছবিতেও অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। সবখানেই পেয়েছেন সাফল্য। সেই সাফল্য সম্পর্কেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নায়িকার একটা লেখা ছাপা হয়েছে। যেখানে তিনি নিজে কীভাবে সফলতা পেয়েছেন এবং নতুন প্রজেন্মর অভিনয়শিল্পীরা কীভাবে সফলতা পেতে পারেন, সে সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। ঋতুপর্ণার এই লেখাটির অনুলিখন করেছেন ভাস্বতী ঘোষ। পাঠকদের জন্য সেটি হুবহু তুলে দেয়া হল।

‘লোকে বলে বুদ্ধি খরচ করে, কৌশল খাটিয়ে অনেক উন্নতি করা যায়। কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকে একটা জিনিসই বুঝি, তা হল পরিশ্রম। আর একটা জিনিস বুঝি, স্বচ্ছ থাকার মতো শক্তি আর কিছুতেই নেই। ছোটবেলায় দাদু এবং কাকাকে বলতে শুনেছি, ‘পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। তখন থেকেই মনে গেঁথে গেছে, ছেলে আর মেয়েতে কোনো পার্থক্য নেই। বরং পরিশ্রম করা বা হাল ছেড়ে দিলেই পার্থক্যটা তৈরি হয়।’

‘মনে পড়ে, মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে আমার রেজাল্ট ভালো হয়েছিল। কারণ তখন আমি বেশি পরিশ্রম করেছিলাম। এখনও এতগুলো বছর এতগুলো ছবিতে কাজ করার পরও কোনো কোনো দিন সকালে উঠে মনে হয়, কিছু ভালো লাগছে না, যা চাচ্ছি তা পাচ্ছি না, কিছুই ঠিকমতো হচ্ছে না। কিন্তু এসব হতাশাকে আমি কখনোই পাত্তা দেই না। সঙ্গে সঙ্গে ভাবি, সবকিছুই ঠিক আছে, এ যাত্রায় এটুকুই পাওনা ছিল। এই দিনটা কাটিয়ে পরের দিনের জন্য আরও ভালো কিছু করতে হবে, যাতে দুঃখ চলে যায়।’

‘আমি কাজের সঙ্গে সঙ্গে সংসারটাও সামলাই। অভিনয় ও সংসার একসঙ্গে সামলাতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় কিছু লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে সময় বেশি লাগে। কিন্তু দমে গেলে চলবে না। মন খারাপ হবে। ভালো কিছু করতে গেলে পাশের মানুষজন অনেক সময় শত্রু হয়ে ওঠে। কিন্তু কোনো কিছু না ভেবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

‘কোনো নায়কের সঙ্গে জুটি জনপ্রিয় হয়েছে বলে সেখানে আবদ্ধ হয়ে যাইনি আমি। অনেক নতুন নায়কদের সঙ্গেও কাজ করেছি। যারা সফল, তাদের সঙ্গে সকলেই কাজ করতে চান। কিন্তু আন্ডারডগদের তুলে আনার দম কজনের আছে? সেখানে সফল হই বা বিফল, চেষ্টা ছাড়ব না। জীবনে ভালো একটা পর্যায়ে পৌছে গেলে যে আর লড়তে হবে না, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’

‘এখনও আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু আমি দমি না। ‘রাজকাহিনী’ ছবিটি করার জন্য সাংঘাতিক পরিশ্রম করেছিলাম। তারপরও যখন পুরস্কার পেলাম না, মনটা খারাপ হয়ে গেল। মনে হল, তাহলে কি এত পরিশ্রম বৃথা গেল? কিন্তু পরমুহূর্তেই তো অন্য ছবিতে নিজেকে নিংড়ে দিতে কমতি রাখলাম না। বহু নামি মানুষ প্রতিভা নিয়ে জন্মান। একেবারে একজন পুরুষের মতোই। কিন্তু আমি বলব, পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসে ভরসা রাখুন, জয় আসবেই।’

ঢাকাটাইমস/৪মার্চ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বিনোদন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :