পাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর মনোভাব নেতিবাচক: মির্জা আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পাটের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, যার কারণে তিনি এটাকে এখনো কৃষিপণ্যে অন্তর্ভুক্ত করছেন না বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। পাটের বিকাশে অর্থমন্ত্রীর নেতিবাচক মনোভাবের প্রভাব অর্থ মন্ত্রণালয়েও পড়েছে বলে মনে করেন প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে 'পাটের উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।

মির্জা আজম বলেন, ‘পাট থেকে বর্তমানে চা তৈরি হচ্ছে, আর তা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই পাটখড়ি থেকে তৈরি চারকোল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মাঝে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে তা আবারও শুরু হয়েছে। পাটের বহুমুখীকরণের ফলে প্রতিনিয়তই এ খাতে উদ্যোক্তা বাড়ছে। আমরা আইনটি এমনভাবে করেছি পণ্যে ৫০ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকলেই তা কৃষিজাত পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। এতে উদ্যোক্তারা পণ্য রপ্তানিতে নগদ ২০ শতাংশ অর্থ সহায়তা পাবে।’

প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রেতাত্মা এখনো অর্থমন্ত্রণালয়ে বসে আছে ।প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ফাইল এখনো অর্থমন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে আটকে আছে।’

মির্জা আজম বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যেই সরকার দেশে ভিসকস ফ্যাক্টরি স্থাপন করবে। পাট নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। সময় আসবে একসময় আমরা আর কোনো কাঁচাপাট রপ্তানি করবো না। দেশেই সমস্ত পাট দিয়ে বহুমুখীকরণ পণ্য উৎপাদন করা হবে।’

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাটের উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থমন্ত্রণালয় অনেক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থমন্ত্রণালয়ে পাটের কোনো ফাইল গেলেই এর গতি মন্থর হয়ে যায়। পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রকল্প তিনবার উঠার পরেও পাস হয়নি। অর্থমন্ত্রণালয়ে এখনো পাটকে কৃষিপণ্যে অন্তর্ভুক্তির ফাইল আটকে আছে। অথচ আমার বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ফাইল গেলে তা ঠিকই পাস হয়ে আসে।’

ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিজিএমসির চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম, জেপেডিসি'র নির্বাহী পরিচালক বেগম রীনা পারভীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :