ভৈরবে চার ভুয়া ডিবি আটক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৮:৫৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের নাটালমোড় এলাকা থেকে চারজন ভুয়া ডিবি সদস্যকে আটক করেছে জনতা।

পৌর এলাকার পলতাকান্দা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. জহির ইসলামের কাছ থেকে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাই করার সময় জনতা তাদের আটক করে। পরে থানায় খবর দিয়ে তাদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর আড়াইটায় শহরের নাটালমোড় এলাকায়। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মোট্রো-চ -১৫-৩৬৩৮), তিনটি ডিবির পোশাক, তিনটি হ্যান্ডকাপ, তিনটি মোবাইল ও কয়েকটি সিম এবং একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করে পুলিশ।

ভুয়া ডিবির সদস্যরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার মধুখালী গ্রামের মাহমুদুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ সদর থানার রামসিংহ গ্রামের মাসুদ শেখ, বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার রামনগর গ্রামের হারুন শিকদার ও মাদারীপুরের সদর থানার হোসনাবাদ গ্রামের মানিক মিয়া। এছাড়া ঘটনার সময় মাইক্রোবাসের ড্রাইভার পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় একটি মামলার প্রস্ততি চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুপুর দুইটায় ভৈরবের ব্যবসায়ী জহির মিয়া ইসলামী ব্যাংক, ভৈরব শাখা থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের নাটালমোড় এলাকায় রিকশাযোগে পৌঁছলে ভুয়া ডিবির সদস্যরা তার পথ গতিরোধ করে। এসময় তারা তাকে মাদক বিক্রেতা বলে রিকশা থেকে নামিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এই ঘটনায় সে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনা জানতে চাইলে তারা ডিবি সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তাদের কথায় সন্দেহ হলে জনতা তাদের গাড়ির পথ গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা স্থানীয় লোকজনের সমাগম দেখে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের গাড়িসহ আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদেরসহ মাইক্রোবাসটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

জহিরুল ইসলাম বলেন, সকালে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা উঠিয়ে নাটালের মোড় এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে চারজন লোক ডিবি পরিচয় দিয়ে তারা আমাকে মাদক বিক্রেতা বলে আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে আমি চিৎকার করি। তারপর আমার সাথে থাকা সফিকুল ইসলাম দুজনে মিলে তাদের ভুয়া ডিবি সন্দেহে তাদের ধরে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় কাউন্সিলর মুমিনুল হক ও আওলাদ হোসেন সওদাগরের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশের নিকট তুলে দেয়।

ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, চারজন ডিবি পরিচয়ে যখন জহিরুল ইসলামকে মাদক বিক্রেতা বলে হাতে হাতকড়া পরাই তখন আমি প্রতিবাদ করে বলি জহিুরুল মাদক বিক্রেতা হবে কেন- সে তো মাছ ব্যবসায়ী। তখন তারা আমাকে গুলি করবে বলে হুমকি দেয়। তারপরই তারা মাইক্রোবাস করে জহিরুলকে নিয়ে যেতে চাইলে আমি তখন গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন চিৎকার শুনে স্থানীয় কাউন্সিলরা এসে আমাদের উদ্ধার করে।

১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুমিনুল হক জানান, চিৎকার শুনে আমি এসে দেখি চারজন লোক একজনকে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। সে মুহূর্ত আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা নিজেদের ডিবি পরিচয় দেয়। তারপর আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম, তাকে আটক করছেন কেন তখন তারা আমাকে গুলি করবে বলে হুমকি দেয়। তারপর আমি বুঝতে পারি তারা ভুয়া ডিবি। তাৎক্ষণিক তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে তারা তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

ভৈরব থানার এসআই জালাল বিন আমীন জানান, ভুয়া ডিবির পরিচয়ে তারা টাকা ছিনতাই করতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তাদের মাইক্রোসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :