পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:০৮ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৩

‘বনানী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা’র পরিচয় দিয়ে অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি। নিজের ছেলেকে কথিত হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে ২০ হাজার টাকা প্রতারিত হয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে সোমবার ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

জাহাঙ্গীর হোসেন ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরমাধবদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে তিনি ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন।

বড় ছেলে মাহিয়া সুন্নাহ মাহিম আশুলিয়া এলাকার বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপারেল মেনুফ্যাক্চার অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত রবিবারই ছিল তার প্রথম ক্লাস।

গত শুক্রবার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীকে নিয়ে ফরিদপুরের উত্তর চরমাধবদিয়ার গ্রামের বাড়িতে আসেন জাহাঙ্গীর হোসেন।

ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় জাহাঙ্গীরের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (৪ মার্চ) বিকাল ৫টা ৪৮মি. তার স্ত্রীর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিজেকে বনানী থানার উপ-পরিদর্শক সুমন পরিচয় দিয়ে জানান, আপনার ছেলে মাহিয়া সুন্নাহকে ফেনসিডিলসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই কথিত এসআই সুমন তার ছেলের মুক্তির জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করে একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে সে নম্বরে টাকা পাঠাতে বলেন। জাহাঙ্গীর সরল বিশ্বাসে ওই বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠান। পরে জাহাঙ্গীর তার ছেলের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফ এম নাসিম বলেন, বনানী থানায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি- ওই থানায় সুমন নামে কোন এসআই কর্মরত নেই। জাহাঙ্গীর হোসেন সরল বিশ্বাসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ প্রতারকচক্রকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি আমার অনুরোধ, কোন ব্যক্তি মুঠোফোনের তথ্য শুনেই যাচাই-বাছাই না করে কোন ব্যক্তি বা কোন বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করা থেকে বিরত থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :