উদ্ধার সেই নবজাতকের মা দাবি বিধবার

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:২৮ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:২৫

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার নবজাতক স্বাধীনের মা দাবি করেছেন এক বিধবা নারী। পাশাপাশি এই নবজাতক জন্মকে কেন্দ্র করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।

নবজাতকের মা দাবি করা নারী হচ্ছেন- কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামের বাসিন্দা।

আসামিরা হচ্ছেন- একই গ্রামের মামুন মিয়া ও তার বাবা আবুল হাশেম এবং মা মমতা আক্তার।

রবিবার রাতে মামলা হয়েছে বলে জানান, কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন সরকার।

১ মার্চ ভোর পৌনে ৬টার দিকে বাড়ির রাস্তার পাশে টিউবওয়েলে অজু করতে গিয়ে সাজিউড়া-ছনভিটা সড়কের পাশে এক নবজাতক পড়ে থাকতে দেখেন বানিয়াগাতি গ্রামের মীনা আক্তার। এ সময় তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে নবজাতককে বাড়ি নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৭টার দিকে মীনার বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে শিশুটিকে পাঠানো হয় নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নবজাতকদের চিকিৎসার স্ক্যানু ওয়র্ডে। স্থানীয় প্রশাসন নবজাতকের নাম রাখে স্বাধীন আহমেদ। স্বাধীন এখনও স্ক্যানু ওয়ার্ডেই রয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে স্বপন সরকার জানান, ওই নারীর স্বামী মারা যাওয়ার পর বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন কয়েক বছর ধরে। বাবার অভাবের সংসারে থেকে শিরিন আক্তার নামে এক নারীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন। এ সময় শিরিনের চাচাত ভাই মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তার সাথে। গত বছর ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয় তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক। এক পর্যায়ে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে না করে এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যান মামুন। বিষয়টি মামুনের বাবা-মাকে জানানো হয়। পরে শিরিন আক্তার তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ থেকে ওই নারীকে বাদ দেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে প্রসব ব্যথা শুরু হলে তিনি চলে যান মামুনদের বাড়িতে। মামুনের মায়ের সহযোগিতায় রাতেই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এসময় মামুনের বাবা আবুল হাশেম ও মা মমতা আক্তার ওই নবজাতককে গ্রামের এক প্রান্তে রাস্তার পাশে রেখে আসেন। পরে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসেন মামুনের বাবা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল হাশেম জানান, মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ থাকায় ওই বিধবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সোমবার নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলেন পরিদর্শক স্বপন সরকার।

(ঢাকাটাইমস/৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :