গাজীপুরে জেএমবির সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকা থেকে রাশেদ ওরফে রাফিউল ইসলাম লিখন (২০) নামে জেএমবির এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গোয়েন্দাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১১টার দিকে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল বোর্ডবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেদ জানায়, সে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে কাজ করছে।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ১২ ফেব্রæয়ারি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সোনালী ব্যাংক মোড় হতে জেএমবির দুইজন সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র, জঙ্গিবাদী বই এবং বৈদেশিক মুদ্রাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ওই আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর র্যাব-২ জানতে পারে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় অপর এজাহারনামীয় আসামি রাশেদ ওরফে মো. রাফিউল ইসলাম লিখন (২০) অবস্থান করছে। পরে গায়েন্দাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১১টার দিকে আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তারর করে। গ্রেপ্তারকৃত রাশেদ বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলার সোনাইদিঘী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাশেদ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একজন সক্রিয় সদস্য। সে ছাত্র জীবনে মাদ্রাসায় লেখাপড়ার পাশাপাশি উগ্রপন্থী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। একপর্যায়ে তার জেএমবি সদস্যদের সহিত সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সে নিজেও জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়। নিয়মিতভাবে ইয়ানত (চাঁদা) দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে সংগঠনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জনৈক ইসমাইল এর সহচার্যে আসে এবং ইসমাইল তাকে ধর্মীয় উগ্রবাদ এর দাওয়াত ও জিহাদের কথা উলেøখ করে তাকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। যার ফলে সে সক্রিয় জঙ্গি হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে জনৈক রাসেল ও সোহেল তার বগুড়ার শাহজাহানপুরের বাসায় এসে তাকে জঙ্গিবাদে উদ্ধুদ্ধ করে, কোরআন ও হাসিসের অপব্যাখ্যা করে এবং মেমরি কার্ডের মাধ্যমে ওয়াজ মাহফিল ও জঙ্গি মতাদর্শী বিভিন্ন ভিডিও প্রদান করে এবং এগুলো প্রতিনিয়ত দেখতে বলে। এছাড়াও শারীরিকভাবে সÿমতা অর্জনের জন্য তারা তাকে বিভিন্ন কলা কৌশল শেখান, যাতে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে।(ঢাকাটাইমস/০৬মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)