‘পাহাড়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান করতে হবে’

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০১৮, ২২:৪০

পাহাড়ে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়- এগুলো দলীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণের কোন প্রতিনিধি নেই। আছে রাজনৈতিক দলের লোক। এদের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান করতে হলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষগুলোকে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান করতে হবে।

বছরের পর বছর দলীয় লোক দিয়ে পাহাড়ে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হলে এ প্রকল্প দৃশ্যমান হবে না। গুটি কয়েক মানুষের উপকার হবে। সামগ্রিক অর্থে এটি জনকল্যাণে আসবে না। উন্নয়ন বাস্তবায়নে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মতামত গ্রহণ করতে হবে। জনমত ছাড়া উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া প্রকল্প কাজে আসবে না।

বুধবার সকালে রাঙামাটি সদরের বড়গাঙ রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেছেন রাঙামাটির বিশিষ্টজনেরা।

অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট কোপারেশনের সহযোগিতায় কাপেং ফাউন্ডেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, এখন আমাদের মাঝে উন্নয়ন আতংক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অবস্থা বিবেচনা না করে, স্থানীয়দের কোন মতামত গ্রহণ না করে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া প্রকল্প এখানে বাস্তবায়ন করা হয়। উন্নয়নের নামে কাপ্তাই বাঁধ করা হয়েছে। কথা ছিল এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু এসব হয়নি। ঢাকায় বসে পার্বত্য চট্টগ্রামের মৌজা ভূমিগুলো খাস জমি তালিকাভুক্ত করে বনভূমি ঘোষণা করা হয়। এটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হাজার পরিবার উদ্ভাস্তু হয়। অতীতের অভিজ্ঞতায় এখন উন্নয়নের নামে কোন প্রকল্পের কথা বলা হলে ভয় হয়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা বলেন, পার্বত্য চুক্তি যেভাবে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা সেভাবে হচ্ছে না। চুক্তি বাস্তবায়নে অনেক দেরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা ছাড়া পাহাড়ে কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়। তার মধ্যে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষার প্রাথমিক বই। এখনই বই করা হয়েছে এগুলো পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। এখানে গোড়া না দেখে আগা দেখার মত অবস্থা দেখা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নরুল আলম বলেন, তিন জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন জরুরি। কিন্তু হচ্ছে না। আমরা একাধিকবার সরকারের কাছে এ ব্যাপারে বলেছি। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তাবায়নের নামে যারা দুর্নীতি করছে তাদের একদিন জবাবদিহিতা করতে হবে।

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা বলেন, পাহাড়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু এরা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের কোন মতামত গ্রহণ করে না। যেসব প্রকল্প হাতে নেয় তার অধিকাংশ ব্যক্তি পর্যায়ে প্রকল্প। এর কারণে প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হয় না। প্রকল্প নেয়ার সময় যদি উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের কাছ থেকে নেয়া হত- তাহলে প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হত।

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :