‘সংস্কৃতি দিয়ে পরিবর্তনের বাতাস আনতে হবে’

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০১৮, ২২:৪৬

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, দেশে এখনও সাম্প্রদায়িকতা চলছে। এটি রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজন। সংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়ে এই পরিবর্তনের বাতাস আনতে হবে।

রাজশাহীতে আয়োজিত অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে রাজশাহী থিয়েটার সপ্তাহব্যাপী এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল। বুধবার রাতে সেখানেই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাদশা বলেন, নাটক সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরতে পারে। নাট্যকর্মীরা তাদের কাছে বিপুলসংখ্যক মানুষকেও সমবেত করতে পারে। তাই দেশের জন্য তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। নাটক মৌলবাদীদের প্রতিহত করতে পারে। এই কাজটিই এখন খুব জরুরি। নাট্যকর্মীদের এটা করতে হবে।

রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে নাট্যচর্চার জন্য ভাল মঞ্চ নেই। সেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে। রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারে অত্যাধুনিক মিলনায়তন হচ্ছে। সেখানে নাট্যচর্চা হবে। মঞ্চ কীভাবে করতে হবে তার জন্য তিনি স্থানীয় নাট্যকর্মীদের পরামর্শ কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভেতরেও ঢুকে পড়েছে। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা এটিই প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, দেশে দুই ধরনের সংস্কৃতি চর্চা চলছে। একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এবং আরেকটি ধর্মকে ব্যবহার করে। ধর্মকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতির বিকাশ বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি এবং সংস্কৃতি মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। তাহলেই ধর্মান্ধ, মৌলবাদের কবল থেকে দেশ রক্ষা পাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন- রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নাট্যজন অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদুল আলম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী থিয়েটারের সভাপতি নিতাই কুমার সরকার।

এর আগে গত ১ মার্চ ‘হাতের মুঠোয় হাজার বছর, আমরা চলেছি সামনে’ স্লোগানে দ্বিতীয়বারের মতো এই নাট্যোৎসব শুরু হয়। নাট্যোৎসবে ভারত-বাংলাদেশের ৭টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠিত হয় শিশু কিশোরদের নানা প্রতিযোগিতাও। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।

(ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :