কোটা আশীর্বাদ না অভিশাপ?

মাসুদ কামাল
 | প্রকাশিত : ০৮ মার্চ ২০১৮, ১০:৩৮

কোটা নিয়ে কিছুদিন ধরেই বেশ হইচই চলছে। এই বাদ-প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে ছাত্রসমাজের মধ্যে। লেখাপড়ার শেষ পর্যায়ে যারা রয়েছেন, আর কিছুদিন পরই শুরু হবে তাদের একটা চাকরির জন্য কঠোর সংগ্রাম, তাদের মধ্যেই কোটা নিয়ে ক্ষোভটা বেশি। কেবল রাজধানী ঢাকা শহরেই নয়, বিভিন্ন জেলা বা বিভাগীয় শহরে, বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা গেল ছাত্রদের মিছিল-মিটিং। তারা কোটা পদ্ধতির চলমান ধারা নিয়ে ক্ষুব্ধ। তারা মনে করে, এটা থাকার কারণে তাদেরকে একটা অসম প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে প্রকৃত যোগ্য ও মেধাবীরা পিছিয়ে পড়ছে।

এটা যে নতুন কোনো অভিযোগ, তা নয়। অনেকদিন ধরেই এটা চলে আসছে। কিন্তু বাস্তবে এই অভিযোগ কেউ কানে তুলছেন বলেও মনে হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা চিৎকার করছেন, কিন্তু প্রশাসন বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের ইচ্ছামতোই কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ ওদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করছেন না, জানতে চাইছেন নাÑ তাদের যুক্তিটা কি। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না, কোনো বিশেষজ্ঞ মতামতও নেয়া হচ্ছে না।

কোটা পদ্ধতি এই ভূখ-ে নতুন কিছু নয়। আমাদের স্বাধীনতার আগে থেকে, এমনকি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে কোটা পদ্ধতি চলে আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে যেমন কোটা ছিল, তেমনি ছিল চাকরি পাওয়া কিংবা চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি। কোটার পক্ষে মূল যুক্তিটা হচ্ছে, ধর্মীয় বা সামাজিক কারণে একটি দেশের কোনো কোনো অঞ্চল কিংবা গোত্র তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকতে পারে। সেই পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীটিকে অন্যদের সঙ্গে সমান কাতারে নিয়ে আসার লক্ষ্যেই এই কোটা পদ্ধতি।

ভারতে কোটা পদ্ধতি আছে। আগে অনেক বেশি ছিল, এখন কিছুটা কম। এখন খাতগুলো কমে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সিডিউল কাস্ট, সিডিউল ট্রাইব এবং অন্যান্য পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা। আগে এটা চাকরির ক্ষেত্রেও প্রবলভাবে ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ভারতের আদালত একাধিকবার তাদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে, ফলে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একবার বলেছেÑএই কোটা পদ্ধতিটি সরাসরি সংবিধানবিরোধী। পরে ভারত সরকার অবশ্য এ কারণে তাদের সংবিধানেও কিছু পরিবর্তন এনেছে। তখন সুপ্রিম কোর্ট কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোটাকে বৈধ বললেও এর পরিমাণ যাতে ৫০ শতাংশের বেশি না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছে।

একেবারে পাশাপাশি দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে আমাদের বাস্তবতার কিন্তু অনেক পার্থক্য। এটা মূলত ধর্মীয় কারণে, আবার কিছুটা ভৌগোলিক কারণেও। আমার এখানে ওদের মতো অত বেশি ট্রাইবাল পপুলেশন নেই। আর ধর্মীয় চিন্তার দিকে তাকালে দেখা যাবে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হিন্দু। সারা দুনিয়ায় গোত্র প্রথা এবং বিভেদ হিন্দু ধর্মের মতো এত প্রবল বোধকরি আর কোথাও নেই। নিম্নবর্ণ বা দলিত শ্রেণির মানুষেরা ওখানে পর্যাপ্ত দূরে থাক, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও পায় না। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা পিছিয়েই থাকে। এক সময় অনেক ক্ষেত্রে এটা বর্ণবাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল। বিশেষ সুযোগ-সুবিধা না থাকলে তাদের পক্ষে মূলধারায় মিলিত হওয়া রীতিমতো অসম্ভব একটা বিষয়। এর বিপরীতে ইসলামে নিম্নবর্ণ-উচ্চবর্ণ বলতে কিছুই নেই। এখানে সকল মুসলিমকে সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে মানুষের স্থানটি নির্ভর করবে যার যার কর্মফলের উপর। কার কি বংশ, কে কার পুত্র, তার উপর নয়।

আমাদের সংবিধানেও সেই একই নীতিমালার কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে সরকারি নিয়োগ লাভে দেশের জনগণকে সমান অধিকার দিয়েছে। এই অনুচ্ছেদটি রয়েছে আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশে। অর্থাৎ এটি আমাদের মৌলিক অধিকার। কি বলা হয়েছে সেই অধিকারে?

১. প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকবে।

২. কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেইক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।

২৯ অনুচ্ছেদের ১ ও ২ নং ধারা পড়লে মনে হবে, কোটা পদ্ধতি কি তাহলে সংবিধান বিরোধী? এর মাধ্যমে কি তাহলে আমাদেরকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে?

না, বিষয়টি তা নয়। এই ২৯ অনুচ্ছেদেই আরও দুটি উপধারা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশ যাহাতে প্রজাতন্ত্রের কর্ম উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ করিতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে তাহাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করা হইতে রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবেন না।” আসলে কোটা পদ্ধতি বৈধতা পেয়েছে এই অংশটুকুর কারণেই। জনগোষ্ঠীর অনগ্রসর অংশকে এগিয়ে আনতেই তৈরি করা হয়েছে কোটা পদ্ধতি এবং সেটা সংবিধানের আলোকেই করা হয়েছে।

একটা কথা প্রায়ই বলা হয়, সরকারি ক্যাডার সার্ভিসে ৫৫ শতাংশ কোটাধারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে, আর বাকি ৪৫ শতাংশ পদে নিয়োগ হয় সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে থেকে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। এ কথাটি কিন্তু অসত্য নয়। বর্তমানে চলমান কোটার বন্টনটা এরকম: নারী ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ শতাংশ এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ। মোট ৫৫ শতাংশ। অভিযোগ ঠিকই আছে।

কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের মূল দাবি কিন্তু কোটা পদ্ধতি বিলুপ্তির জন্য নয়। এদের একাধিকের সঙ্গে কথা বলে আমি যেটা বুঝেছি, কোটা নিয়ে তাদের আপত্তি নেই, আপত্তি তাদের কোটার আয়তনটি নিয়ে। নিয়োগের জন্য ঘোষিত পদের অর্ধেকেরও বেশি কেন সংরক্ষিত থাকবে? আর একটি আপত্তি তাদের মুক্তিযোদ্ধার বংশধরদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে।

তাদের এই দ্বিতীয় আপত্তিটি নিয়ে আসলে বড় পরিসরে আলোচনা হওয়া দরকার। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৭ বছর হয়ে গেছে। প্রায় অর্ধশতক পরও এদেশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেন এখনো মুক্তিযোদ্ধা-অমুক্তিযোদ্ধা বিষয়টি। এই দীর্ঘ সময় ধরে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হিসাবে বিরাজ করছে ‘মুক্তিযোদ্ধা তালিকা’। তালিকা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, এক একটি সরকার আসে, তার তাদের মতো করে তালিকা করে। আগের সরকারের তালিকাকে বাতিল করে। তালিকা নির্মাণ চলছে, হয়তো অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। ৪৭ বছর ধরে যে তালিকা চূড়ান্ত করা যায় না, সেই তালিকার যথার্থতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এ প্রসঙ্গে দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারে। এদের একজন মেজর জেনারেল (অব.) মইনুল হোসেন চৌধুরী। ইনি একজন খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও ছিলেন। তার মতে, দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কোনোভাবেই এক লাখের বেশি হতে পারে না। তার ভাষায়, “আশ্চর্য লাগে, সরকার বদলালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে এসব দেখে নিজেকে খুবই হেয়প্রতিপন্ন মনে হয়।” জেনারেল মইনুল এখন আর বেঁচে নেই। থাকলে হয়তো তার সেই দুঃখ আরও বাড়তো, কারণ এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আরও বেড়েছে।

দ্বিতীয় যার কথা উদ্ধৃত করবো, তিনি বিশিষ্ট গবেষক মুনতাসির মামুন। জেনারেল মইনুল কোনো দল করতেন না, কোনো দলের ব্র্যাকেটবন্দিও তাকে করা যাবে না। তার একটা নির্দলীয় ইমেজ ছিল। অতটা অবশ্য নেই অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের। লোকে তাকে আওয়ামীপন্থি ব্যক্তি হিসাবেই চেনে। এহেন অধ্যাপক মামুনও বলেন, “সরকার যদি এখন ঘোষণা দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে না এবং আহত ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাড়া আর কাউকে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না, তাহলে কাল থেকে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম তুলতে চাইবে না।”

আসলে এটাই মূল কথা। এই যে তালিকা লম্বা থেকে আরো লম্বা হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন হচ্ছে, বয়স কমতে কমতে ১৩ বছর নামানো হয়েছে, এ সবই ওই সুযোগ-সুবিধা পেতেই। ফলে তালিকায় অনেক ভুয়া লোক ঢুকে যাচ্ছে। ভুয়াদের প্রবেশের তালিকা বিস্তৃত হতে হতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। কেবল ইনি একাই নন, আরও বেশ কয়েকজন সচিব এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যে মিথ্যা কাগজপত্র দাখিল করে নিজেদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ঢুকিয়েছিলেন, তা এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর কারণ তো আর কিছু নয়, ওই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির প্রত্যাশা। তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হলে প্রতিমাসে বসে বসে দশ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়া যাবে, সরকারি চাকরিতে দুই বছর বেশি থাকা যাবে, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনি পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পাবে। তো, আর কি চাই! পৃথিবীতে আর কোন দেশে, আর কোন জনগোষ্ঠী এরকম বংশানুক্রমিক সুযোগ-সুবিধা পায় বলে জানা নেই। কিন্তু যুক্তি থাক বা না থাক, সেটা বাংলাদেশে চলে।

মানতে দ্বিধা নেই, কোটা পদ্ধতি সংবিধান স্বীকৃত। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সংবিধানে কিছু সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা থাকবেÑএটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা অনগ্রসর শ্রেণি হয় কিভাবে? যে সুযোগ-সুবিধা গত কয়েক বছর ধরে চলছে, এরা তো সবচেয়ে অগ্রসর শ্রেণি এখন। তারপরও এটা তো সত্য যে, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা নিজেদের জীবনবাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ যে আমরা একটা স্বাধীন ভূখ- পেয়েছি, নিজেদের একটা জাতীয় পতাকা পেয়েছি, বিশ্ব দরবারে নিজেদের স্বকীয় উপস্থিতি ঘোষণা করতে পেরেছি, সেটা এই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই তো। জাতি তাদেরকে সম্মান করে। আইনানুগভাবে তাদেরকে যত সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায়, দেয়া হোক। চাকরির বয়স মাত্র দু’বছর কেন, প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হোক। অবসর গ্রহণের পর, তাদের অবসর ভাতাও বাড়িয়ে দেয়া হোক। দেশ গঠনে তাদের পরামর্শ নেয়া হোক। এসবই হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। আপত্তি কেবল দুটি ক্ষেত্রে। এক. প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাটি অবিতর্কিত হোক, আর দুই. এই সুযোগ-সুবিধা বংশানুক্রমিক না হোক। পিতার পাপের দায় যেমন সন্তানের উপর বর্তায় না, পিতার পুণ্যের ভাগিদারও তেমনি সন্তান হতে পারে না। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের আইন যেমন মানে না, আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামও তেমনি অনুমোদন করে না।

দিন কয়েক আগে শাহবাগে গিয়েছিলাম, কোটাবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা হলো। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। তবে কথা বলে বেশ যুক্তি দিয়ে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আতঙ্কিত হলাম। মনে হলো, দেশে এখন একটা প্রজন্ম বেড়ে ওঠছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের প্রতি ঈর্ষাকে লালন করে। সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবল পিতা মুক্তিযোদ্ধা না হওয়ার কারণে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে সে শিকার হচ্ছে প্রবল বঞ্চনার। এই বঞ্চনাকে সে মেনে নিতে পারছে না, অসহায় হতাশা তার মধ্যে প্রকারান্তরে তার মধ্যে জন্ম দিচ্ছে সুবিধাভোগী ওই অল্পসংখ্যক ব্যক্তির প্রতি ঈর্ষা ও ঘৃণার। এটা ভালো লক্ষণ নয়। আমরা মনে করতে পারবো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই বিভক্তিই কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম দিয়েছিল। হয়তো সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাটি কার্যকর হচ্ছে না। আমরা কি তাহলে অসামরিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও সেরকম কিছুর অপেক্ষায় থাকবো? কিন্তু সেরকম কিছু হলে যে সেই বিভেদের বিষবাষ্প পুরো সমাজেই ছড়িয়ে পড়বে, সেই খেয়াল কি আছে কারও?

মাসুদ কামাল: লেখক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :