বাগমারায় কলেজশিক্ষকের লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সামসুন নাহার (৩৩) নামে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার শোয়ার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সামসুন নাহারের স্বামী সাইফুল ইসলামকে (৪০) পুলিশ আটক করেছে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সামসুন নাহার বাগমারার তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ছিলেন। তার বাড়ি তাহেরপুর পৌরসভার পাবনাপাড়া গ্রামে। সামসুন নাহারের স্বামী সাইফুল ইসলাম তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক।

ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, কীভাবে নাহারের মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে নাহারের পিঠে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়াও তার ঘরে ধস্তাধস্তি ও বমি করার আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সাইফুল তার স্ত্রী নাহারকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন।

ওসি বলেন, নাহারের লাশ তার শোয়ার ঘরের খাটের উপর পড়ে ছিল। তবে ঘরের দরজা খোলা ছিল। আর বাড়ির মেইন গেটের দরজা বাহির থেকে তালা লাগানো পাওয়া যায়। সকাল ১০টার দিকে নাহারের ছোট মেয়ে বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ দেখতে পায়। এ সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না। লাশ পড়ে থাকার খবর জানাজানি হলে পুলিশ তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল পুলিশকে জানিয়েছেন- রাতে নাহারের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এ সময় সে ঝাড়– দিয়ে তিনি নাহারকে মারপিট করে রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর ওই রাতেই তিনি রাজশাহী শহরে চলে যান। সকালে পুলিশের ফোন পেয়ে তিনি তাহেরপুরে যান। তবে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর কী হয়েছে তা জানা নেই বলে সাইফুল পুলিশকে জানিয়েছেন। মৃত্যুর কারণ পুলিশ তদন্ত করছে বলেও জানান ওসি।

নাহারের ভাই আমজাদ হোসেন মৃধা জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে মাঝে মধ্যে নাহারকে নির্যাতন করতেন সাইফুল। বুধবার দিবাগত রাতে তার ভাই আবু বাক্কার মৃধা মুনছুর গিয়ে নাহার ও সাইফুলের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। সকালে বাড়িতে তার লাশ পাওয়া গেল।

(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/আরআর/জেবি)