নির্বাচনি বছরে এডিপি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ

কাওসার রহমান
 | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৮, ০৯:৩০

বাংলাদেশে প্রতি বছর বাজেটে ঘটা করে বড় আকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বছর শেষে সেই কর্মসূচির বাস্তবায়ন দেখা যায় না। তারপরও প্রকল্পের গুণগতমান নিয়ে তো প্রশ্ন থাকেই। শেষ দিকে তড়িঘড়ি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের মানে বড় ঘাটতি দেখা পড়ে। ফলে অর্থ খরচ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও তা টেকসই হয় না। বিশেষ করে, দেশের রাস্তাঘাটের ক্ষেত্রে প্রকল্পের মানের বেশ অবনতি চোখে পড়ে। তারপরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারায় কর্মসূচি কাটছাঁট করতে হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার কমিয়ে ছোট করে তা সংশোধন করতে হয় বাজেট অধিবেশনে।

ফলে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন না হওয়াটা এখন বাংলাদেশের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। আর নতুন প্রকল্প হলে তো কোনো কথাই নেই। বেশিরভাগেরই নির্ধারিত সময় কাজ শুরু হয় না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রতি বছরই এডিপি বাস্তবায়নের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। এ বছরও তেমন আহ্বান জানানো হয়েছে। কারণ এটি নির্বাচনি বছর। এ কারণে নির্বাচনি এলাকায় নেওয়া প্রকল্প নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন না হলে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা কঠিন সমালোচনার মুখে পড়বেন।

কিন্তু এতে যে খুব একটা কাজ হয়েছে তা বলা যাবে না। কারণ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের (১ জুলাই থেকে ৩১ জানুয়ারি) এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এই সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ এডিপির মোট বরাদ্দ থেকে প্রায় ৫৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছে সরকার। গত অর্থবছরেও প্রায় একই অবস্থা ছিল। ওই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে সরকার এডিপি বরাদ্দের ৩৯ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা ব্যয় করতে পেরেছিল, যা ছিল ওই বছরের মোট বরাদ্দের ৩২ দশমিক ৪১ শতাংশ। সেই হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় করা গেছে। কিন্তু সার্বিকভাবে বরাদ্দের তুলনায় এখনও পিছিয়ে আছে বাস্তবায়ন।

অবশ্য এ বছর যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে, তার জন্য কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। এ বছর এডিপির বাস্তবায়ন বাড়াতে অর্থবছরের শুরু থেকেই পরিকল্পনা হাতে নিয়ে এগুতে হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে। যেমন বড় প্রকল্পগুলোর প্রতি বেশি নজর রাখা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনামন্ত্রী ৩৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সরেজমিন পরিদর্শনেও যেতে হচ্ছে বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকার এডিপি গ্রহণ করা হয়। তা থেকে অর্থবছরের সাত মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৩ শতাংশ। আর বাকি আছে মাত্র পাঁচ মাস। এই পাঁচ মাসে প্রায় ৬৭ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে হবে। যা অনেটাই চ্যালেঞ্জিং। তবে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রথমার্ধের তুলনায় বেশি হয়। সেদিকটি বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে অবশ্য পরিকল্পনামন্ত্রী খুশি। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কঠোর মনিটরিংয়ের কারণে আগের তুলনায় এখন এডিপি বাস্তবায়নের হার ভালো। বর্তমান সরকারের বড় বড় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এডিপি বাস্তবায়নের হার আরও বাড়বে।’ বাকি পাঁচ মাসে প্রত্যাশা অনুযায়ী এডিপি বাস্তবায়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কিন্তু বাস্তবে খুশি হওয়ার কি যথেষ্ট কারণ আছে? কারণ ইতোমধ্যে এডিপি কাটছাঁটের আয়োজন চলছে। কাটছাঁটের প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। কাক্সিক্ষত ব্যয় করতে না পারায় ৮২১ কোটি টাকা বরাদ্দ কমছে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা পদ্মা সেতু প্রকল্পে। অথচ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ যাতে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য চলতি অর্থবছরের এডিপিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়েছিল। প্রকল্পটির অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ বরাদ্দের বিপরীতে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছরের ছয় মাসে ব্যয় হয়েছে ৬২৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া শুরু থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ প্রেক্ষাপটে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমছে ৮২১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফলে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৭০৩ কোটি ১৭ লাখ টাকায়। এটাই বাস্তবতা। কেননা পাইলিংয়ের জন্য নতুন ডিজাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই এ টাকাটা ব্যয় করা যাবে না। এছাড়া বৈদেশিক সহায়তা অংশে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা কমিয়ে ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চূড়ান্ত করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

অবশ্য পদ্মার বিপরীতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজে। এছাড়া অপর দুই আলোচিত প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের বরাদ্দ অপরিবর্তিতই থাকছে। এটি অবশ্য ভালো খবর। এছাড়া সরকারের নিজস্ব তহবিলের অর্থ বরাদ্দ কমছে না। বর্তমানে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পভিত্তিক যেসব বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে তা সংযোজন-বিয়োজনের কাজ চলছে। তাই নির্বাচনের বছরে সরকারি তহবিলের অর্থ কমানো হচ্ছে না। কিন্তু বৈদেশিক সহায়তা এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়ন মিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) কমছে ৬ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এখন সংশোধিত এডিপি হচ্ছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার, যা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে অনুমোদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অর্থাৎ মূল এডিপির শতভাগ বাস্তবায়ন এখন সরকারের লক্ষ্য নয়। সরকারের লক্ষ্য চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে সংশোধিত এডিপির শতভাগ বাস্তবায়ন। সেই কৃতিত্বই অর্জন করতে চায় সরকার। এ জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এর মাধ্যমে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে বাজেট বাস্তবায়নের হারও বাড়াতে চায় সরকার। শুধু তাই নয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অর্থবছর শেষে বাজেট বাস্তবায়নে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি করতে চায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এ জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করা যাবে না। ভবিষ্যৎ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে চলমান প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো প্রকার বাধা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের ব্যয় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিরও নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

এডিপি বাস্তবায়নের বাধাগুলো কি তা এখন সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অজানা থাকার কথা নয়। কারণ গত এক যুগ ধরেই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নের ধীরগতির বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছেÑ সময়মতো অর্থ ছাড় না হওয়া, জমির অধিগ্রহণে বিলম্ব, দক্ষ প্রকল্প পরিচালকের অভাব। এছাড়া বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাব, কর্মকৌশল গ্রহণে সরকারের ধীরগতি, ক্রয়কাজে জটিলতা, যোগ্য পরামর্শক প্যানেল না পাওয়া, সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগীর সম্মতি পেতে দেরি, পরিবেশগত প্রভাবের বিষয়ে মূল্যায়নে জটিলতা, ঋণ নেগোশিয়েশন না হওয়া, সঠিক সময়ে বাস্তবসম্মত ক্রয় পরিকল্পনা, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও অনুসরণ না করা, দরপত্র আহ্বান ও কন্ট্রাক অ্যাওয়ার্ড কাজে বিলম্ব, ভৌত কাজের ডিজাইন ও রেট শিডিউল পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ না করা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা কর্তৃক যথাযথ পরীবিক্ষণের অভাব, প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন, সময়মতো প্রকল্পের পিসিআর না পাওয়া ইত্যাদি।

এসব সমস্যা জানার পরও কেন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না তা বোধগম্য নয়। সে অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য মাঠে না নেমে কাগজপত্রের কাজ সমাধান ও কেনাকাটার কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কারণ আমাদের অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে বৃষ্টি থাকে। অন্যদিকে অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে এবং জুনেও থাকে বৃষ্টি। এ সময় মাঠে না থেকে প্রকল্পের ঘরোয়া কাজের প্রতি মনোনিবেশ করার পরামর্শ তাদের। এরপর অর্থবছরের বাকি সময় অর্থাৎ আট মাস বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে লক্ষ্য অনুযায়ী এডিপি বাস্তবায়ন অসম্ভব নয়।

প্রতিবারই এডিপি বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে সমালোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। কিন্তু উল্লিখিত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মনে হয় বছরের বেশিরভাগ সময় কুম্ভকর্ণের ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করেন। এরপর যখন তাদের ঘুম ভাঙে, তখন আর সময় থাকে না। অর্থবছরের শেষে এসে তড়িঘড়ি করে প্রকল্প শেষ করেন, যাতে কাজের মান খারাপ হয়, অনেক সময় কাজ না করেও ঠিকাদাররা অর্থ তুলে নেন। এসব নিয়ে লেখালেখি হলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়ার রেওয়াজ তেমন নেই।

অনেক সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে দেশে হরতাল বা অবরোধের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই রাজনৈতিক কারণে প্রকল্প বিলম্বের অজুহাত টিকবে না। এ সময় উত্তরাঞ্চলে বন্যা হলেও দীর্ঘস্থায়ী ছিল না। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের দোহাই ধোপে টিকবে না। বাজেট তথা জনগণের অর্থ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা চলতে পারে না। প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই হবে।

আরেকটি নীতিগত বিষয় সরকারের বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অর্থবছর শুরু হয় জুলাই মাসে। তখন বর্ষার মৌসুম শুরু হয়ে যায়। ফলে অর্থবছরের প্রথমদিকে কাজ শুরু করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অর্থবছর শেষ হয় জুন মাসে। ওই সময়ও বর্ষা শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় অর্থবছর এগিয়ে আনার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে পারে। ভারতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে অর্থবছর হিসাব করা হয়। বাংলাদেশে ক্যালেন্ডার বছরের সঙ্গে মিল রেখে জানুয়ারি-ডিসেম্বর অর্থবছর করা যেতে পারে।

কাওসার রহমান: নগর সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :