সবজি চাষে মাথায় হাত শেরপুরের কৃষকদের

মো. আব্বাস উদ্দিন, শেরপুর (ঝিনাইগাতী)
 | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১১:২২

শেরপুরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনেও লাভ পাচ্ছেন না কৃষকরা। বর্তমানে তাদের পানির দরে বিক্রি করতে তাদের হচ্ছে নানা জাতের সবজি। এতে লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না তাদের।

কৃষকরা জানান, এবার তাদের উৎপাদিত সবজি ঘরে উঠতে না উঠতেই পড়ে গেছে দাম। প্রথম পর্যায়ে সবজির মূল্য ভালো থাকায় তারা কিছুটা লাভবান হয়েছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে সবধরনের সবজি বাজারে চাহিদার চেয়ে বেশী আমদানি হওয়ায় সবধরনের সবজির দাম পানির দামে নেমে এসেছে। গত ১৫ দিন আগে সবজির মূল্য ছিল টমেটো প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা দরে, বর্তমানে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে এক টাকা কেজি দরে, প্রতি কেজি শিম ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও, বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৮-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন ছিল ৪০-৪৫ টাকা, বর্তমানে বেগুন প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা ছিল, বর্তমানে তার মূল্য নেমে এসেছে ৮-১০ টাকায়। প্রতিটা লাউয়ের মূল্য ছিল ৩০-৪০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে লাউপ্রতি ১০-১২ টাকায়।

কৃষকরা বলছেন, অন্যান্য সবজিও আগের চেয়ে সর্বনিম্ন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না তাদের।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল ও সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছর এ অঞ্চলে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের মাঝামাঝি পর্যায়ে বৈরী আবহাওয়ায় সবজির কিছুটা ক্ষতি হলেও বর্তমানে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সবজি উৎপাদন ভাল হয়েছে। তবে বাজার ভালো না থাকায় কৃষকরা সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। তাই এ এলাকায় সবজি সংরক্ষণে সরকারি একটি হিমাগারের প্রয়োজন। এতে কৃষকরা উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণ করে চাহিদা অনুযায়ী বাজারজাত করতে পারতেন। এতে তাদের লোকসান গুনতে হতো না।

(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/ওআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :