৭ মার্চ যুবলীগের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪০ | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৩:৫৮

ক্ষমতাসীন দলের কর্মসূচিতে সচরাচর পুলিশের হামলার ঘটনা বিরল। কিন্তু এমন একটি ঘটনাই ঘটেছে রাজধানীতে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া যুবলীগের একটি মিছিলে হামলা করে পিটিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হাতিরঝিলে।

বুধবার এই ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এই হামলার ভিডিও ছড়ায় সামাজিক মাধ্যমে। এতে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে আসা একটি মিছিলের সামনে থাকা মোটরসাইকেলধারীদেরকে প্রথম আটকে দেয় পুলিশ। এরপর অতর্কিত হামলা হয় তাদের ওপর।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবলীগের মিছিলটি থেকে চারজনকে আটক করে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন মিছিলে থাকা এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

পিটুনির এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল রেখেই নেতা-কর্মীরা পিছু হটে। পরে পুলিশও আরও এগিয়ে দিয়ে মিছিলকারীদের পেটায়। এ সময় হাতে থাকা শটগানও তাক করেন দুই জন পুলিশ সদস্য। তবে তারা গুলি করেননি।

পিটুনির শিকার নেতা-কর্মীরা অবশ্য কোনো রকম প্রতিরোধের চেষ্টা করেননি।

ওই মিছিলে ছিলেন ২৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম টেলু। তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী ‍উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর নেতুত্বে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ কয়েকজন এসআইকে নিয়ে এসে আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা করেন।’

আপনারা কী করেছিলেন?- এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা তো কিছুই করিনি। আমরা হাতিরঝিল দিয়ে মধুবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ওঠাৎ ওসি এসে ডাইরেক্ট বললেন, ডাইরেক্ট বলেছে, এখান দিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ।’

‘এ কথা বলেই তিনি আমাদের ওপর আক্রমণ চালালেন। এতে ২০ থেকে ২৫টি হোন্ডার ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি হোন্ডা তারা নিয়ে যায়। পরে আবার সেখানে ফেলে দিয়ে রাখে।’

দুটি মোটর সাইকেল এবং চারজন নেতা-কর্মীকে সেখান থেকে আটক করা হয় বলেও জানান জাহাঙ্গীর। পরে তাদেরকে বৃহস্পতিবার পাঁচআনি মামলায় চালান দেয়া হয় আদালতে। খবর পেয়ে তাদেরকে জামিন করিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানান জাহাঙ্গীর।

আসলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এমন কোনো নির্দেশ ছিল কি না, সে বিষয়ে আপনারা তার সঙ্গে বা আওয়ামী লীগের আউচ্চ পর্ায়ে যোগাযোগ করেছেন কি না-এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা এখনও স্টেপ নেইনি। আমাদের অনেকেই অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা শেষ করে আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাব।’

‘তবে সেদিন আমরা নেত্রীর দিকে তাকিয়ে, দলের কথা ভেবে কোনো ফিডব্যোক করিনি। নইলে পুলিশের সংখ্যা ছিল অল্প, আর আমাদের নেতা-কর্মীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এত মার খাওয়া সত্ত্বেও আমরা বিশৃঙ্খলা হবে বলে কিছু করিনি।’

পুলিশের পিটুনির পরও মিছিল নিয়ে সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রশিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘হাতিরঝিলের ঘটনা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। সব থেকে ভালো হয় আপনি ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে যোগাযোগ করেন।’

যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘৭ মার্চ হাতিরঝিলে ঠিক কী ঘটেছিল তা আমার জানা নেই।’

ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/বিইউ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :