নীলফামারীতে চলছে দেশীয় সংস্কৃতির মহাসম্মিলন

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০১৮, ১৪:৪১

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের নীলফামারীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন। এবারের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলনে আরো থাকছে, নজরুল গীতি, ভাওয়াইয়া, গীত, গীতি-আলেখ্য, কণ্ঠশীলন-এর কাব্য-আলেখ্য, নৃত্যনন্দ-এর রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য, পঞ্চকবির গান ও লোকসঙ্গীতসহ নানা আয়োজন।

সম্মেলন উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় এই মহাসম্মিলনের উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর প্রদীপ প্রজ্বলন শেষে আর্শীবাণী প্রদানের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতির স্বরূপয়ার কেন্দ্রে রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ-তা ধারণ করে প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিতে রেখেছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সে সাধনা থেকে বিচ্যুত হয়নি কখনো। তাই সম্মিলন পরিষদের কর্মকাণ্ড কখনো আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং হয়ে উঠেছে বাংলার সংস্কৃতিসেবীদের এক অনন্য ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্র। যার মাধ্যমে ঘটবে মুক্ত সংস্কৃতির বিকাশ। আর এ লক্ষ্যে বহু কাঙ্খিত সম্মিলিত শক্তির আজকের এই অধিবেশন।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ড. সানজিদা খাতুন বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবতাকে সবচেয়ে বড় করে দেখেছেন। তার সাধনা ছিল আগে বাঙালি হওয়া, পরে বিশ্বমুখী হওয়া।

৩৭তম বার্ষিক এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাড়ে পাঁচ শ প্রতিনিধি এবং দেড় শতাধিক স্থানীয় শিল্পী ও কলা-কৌশলী অংশ নিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি সনজিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের অধিবেশনে স্বাগত ভাষণ দেন সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সম্মেলন উদযাপন কমিটির নীলফামারীর সদস্য সচিব ডা. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহীন। সন্ধ্যায় আবৃত্তি, নৃত্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিন দিনের বার্ষিক অধিবেশনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের ৮৪টি শাখার হাজারো প্রতিনিধি এবং দেড় শতাধিক স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার দর্শক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

আজ শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন। এদিন সকালে জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার অদুরে বিরাট রাজার বিন্যা দিঘি নীলসাগরে অনুষ্ঠিত হবে প্রীতি সম্মেলন। রবিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, সেমিনার ও বিকালে প্রতিনিধি সম্মেলন অনু্ষ্ঠিত হবে। গুণীজনকে রবীন্দ্রপদক ও সম্মাননা প্রদান করা হবে। সেমিনারে শিক্ষা-চিন্তক ও শিক্ষা-কর্মী রবীন্দ্রনাথ: সমকালীন তাৎপর্য শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এদিন রাতে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে গুণীজনের সুবচন রবিরশ্মি, আবৃত্তি, নৃত্য ও সংঙ্গীতানুষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/১০ মার্চ/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :