তামিমের ভাষ্যে যেভাবে অসাধ্য সাধন হলো

ক্রীড়া প্রতিবেদক, কলম্বো, শ্রীলঙ্কা থেকে
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০১৮, ০৮:০২

বড় রান তাড়া করে তেমন জয়ের নজির নেই বাংলাদেশের। ১৬৪ রান তাড়া করে একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল টাইগাররা, সেই ২০০৭ সালে। ২১৫ রান? এ যে অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে ফেললো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের চতুর্থ বড় জয়টি তুলে নিল টাইগাররা। ওভার প্রতি রান সাড়ে এগার করে।মুখের কথা নয়। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে হবে সমান তালে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কীভাবে মনে রাখার মতো জয়টা সম্ভব হলো তা তামিমের বিশ্লেষণ থেকেই জানুন।

আত্মবিশ্বাস

সবাই বিশ্বাস করেছে যে জেতা সম্ভব। আমরা জানতাম যদি পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারি, এরপর মাঝের ওভারগুলোতে স্মার্টভাবে ব্যাটিং করতে পারি, যে কোনো কিছুই সম্ভব। এটাই আলোচনা হয়েছে ইনিংস বিরতিতে। সবাই বিশ্বাসও করেছে যে আমরা জিততে পারি। এই আত্মবিশ্বাস ছিল।

দুর্দান্ত শুরু

আমি ও লিটন খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছি। এরপর মুশি, রিয়াদ ও সৌম্য দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিয়েছে। সৌম্যর ২২ বলে ২৪ রান হয়ত খুব ভালো দেখায় না স্কোরবোর্ডে। কিন্তু এটাই দরকার ছিল। সিঙ্গেল নিয়েছে, যখন বাউন্ডারির দরকার ছিল, মেরেছে। জুটি গড়েছে।

মুশফিকের শেষ পর্যন্ত থাকা

আমরা যেখানে রান নিয়ে যাই এরপর প্রয়োজন ছিল একজন ব্যাটসম্যানের শেষ পর্যন্ত থাকা, মুশফিক যেটি অসাধারণভাবে করেছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার এটিই যে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করেছি।

মুশফিকের ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা

মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিটি ওভারেই বাউন্ডারি দরকার ছিল। সিঙ্গেল-ডাবলসও দরকার ছিল। মুশফিক তখন অসাধারণ ব্যাট করেছে। ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা পুরোপুরিভাবে দেখিয়েছে। এর চেয়ে বেশি বলার নেই। আউট হয়ে গেলে হয়তো বলতে পারতাম যে খেলা শেষ করে আসতে পারত। কিন্ত সে সবই ঠিক করেছে।

২১৫ রান তাড়া কখনোই সহজ নয়। যখন উইকেটে এসেছিল ও, থিতু হওয়ার সময় নেওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রথম বল থেকেই মারতে হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, থেমে যায়নি। শেষ পর্যন্ত থেকেছে। অবশ্যই টি-টোয়েন্টিতে ওর সেরা ইনিংস। আর দলগত এটা আমাদেরও সেরা ইনিংস।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/ডিএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :