যেভাবে হারতে হয়েছিল ব্যাঙ্গালুরুতে, সেভাবে জয় প্রেমাদাসায়
২০১৬ সালের মার্চে ভারতের বিপক্ষে পারেননি। দুই বছর পরে সেই মার্চে এসেই পারলেন। সেবার না পেরে হয়েছিলেন সমালোচিত। এবার পেরে মুশফিকুর রহিম হয়ে গেলেন মহানায়ক।
যেভাবে জয় প্রেমাদাসায়
শ্রীলঙ্কার করা ২১৪ রানের জবাবে ১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৭৭। সঠিক পথেই এগুচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ১১ বলে ২০ রান করার পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে যান রিয়াদ। বড় ধাক্কা খেল দল। আউট না হয়ে এ বলে ছ্ক্কা হলেই কাজের কাজ হয়ে যেত।
শেষ দুই ওভারে দরকার ১৯ রান। চরম নাটকীয়তা।প্রথম বলে এলো মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় বলে এক রান নিতে গিয়ে রান আউট সাব্বির। ২ বলে ০ করে হতাশার বিদায়। ব্যস, চাপে পড়ে যায় দল। তবে ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আবার আশা বাঁচিয়ে রাখেন মুশফিক।
শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। চূড়ান্ত নাটক। উইকেটে মুশফিক ও মিরাজ। বোলিংয়ে থিসারা পেরেরা। প্রথম বল থেকে ২ রান নেন মুশফিক। পরের বলে বসে পড়ে চার। পরের বলে আবার ২। প্রথম তিন বলে ৮ রান। স্কোর লেভেল। হাতে আরও তিন বল । চতুর্থ বলে এক রান দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি তুলে নেন মুশফিক। ৩৫ বলে ৭২ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
ব্যাঙ্গালুরুতে সেই কষ্টের হার
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। ভারতকে হারানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিক। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। হাতে চার উইকেট। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।বোলার ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া ।
প্রথম বলে এক নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাঁচ বলে ১০ রান দরকার। তবে পরপর দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের কাছে নিয়ে যান মুশফিক।
জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। তিন বলে দরকার ২ রান। কিন্তু শেষ তিন বলে মাত্র ২টি রানই করা যায়নি। চতুর্থ বলটি স্লোয়ার দেন পান্ডিয়া।বড় শট খেলতে গেলেন অযথা। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মুশফিক।
এরপর ভুল পথে হাঁটলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। পঞ্চম বলটি ছিল ফুল টস। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন রিয়াদ। শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল। এটাও সহজ ব্যাপার। কিন্তু শুভাগত হোম ব্যাটে বলে করতে পারেননি। অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজ দৌড়ে আসার আগেই ধোনি বেলস ফেলে দেন। সেই কষ্টের হার এখনও ভুলতে পারে না বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/ডিএইচ)