কারা হেফাজতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
কারা হেফাজত থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন (৩৮) মারা গেছেন। তার হাজতি নম্বর -১০৯৬৫/১৮। সোমবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে জাকিরকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাকির হোসেন তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন এছাড়াও তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন।
গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে রমনা থানা পুলিশ জাকির হোসেনকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। রিমান্ড শেষে রবিবার মিলনকে অসুস্থাবস্থায় আদালতে নেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার কারাগারে অসুস্থবোধ করলে মিলনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মিলনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
মৃত জাকির হোসেন মিলনের চাচা এবিএম ওয়ালিউল্লাহ ঢাকাটাইমস বলেন, দেশে কোনো বিচার নাই। গত তিনমাস আগে আমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মিথ্যা অভিযোগে। পরে জামিনে মুক্তি পাই। গত ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিলন ও আক্তার নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে রমনা মডেল থানার পুলিশ। পরে তাদেরকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়। ঢাকা মহানগর মূখ্য হাকিম তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল রবিবার তাদের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে আদালতে না তুলে হাতজখানা থেকেই জামিন না মঞ্জুর করেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এরপর আমরা আজকে সকালে টেলিভিশন স্ক্রলে জানতে পারি মিলনের মৃত্যুর খবর। পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের পরিবারের।
মৃত জাকির হোসেন মিলন দীর্ঘদিন ধরেই তেজগাঁও এলাকায় ছাত্রদলের রাজনীতি করছেন। তিনি মাহী নামের নয় বছরের এবং আয়েশা নামের তিন বছরের দুইটি মেয়ে সন্তানের জনক ছিলেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার মাজখান গ্রামে।
এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/এএ/বিইউ/এমআর