বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ইলিয়াস মোল্লা

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০১৮, ১৩:৪৩ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৩

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরে তিনটি বস্তিতে আগুনে সহায় সম্পদ হারা মানুষের জন্য প্রাথমিক আশ্রয় আর খাদ্যের সংস্থান করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা।

রবিবার দিবাগত রাতে হারুনাবাদ এলাকার কবির মোল্লার বস্তি, সাত্তার মোল্লা ও নাগর আলীর বস্তিতে আগুনে পুড়েছে তিন হাজারের মত ঘর।

আগুনে যারা ঘর হারিয়েছেন তাদের বহু মানুষেরই ঢাকায় থাকার অন্য কোনো জায়গা নেই। সামান্য যে জিনিসপত্র তারা বাঁচাতে পেরেছেন, সেগুলো নিয়ে যাওয়ার মতো ভাড়ার টাকাও নেই বহু মানুষের। খাবারের সংস্থান অনিশ্চিত ছিল অনেকেরই। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে আসা ঘোষণা তাদেরকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।

ঢাকা ১৬ আসনের এই সংসদ সদস্য পাশেই একটি মার্কেট নির্মাণ করছেন। এখনও দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়নি। আর বহুতল এই ভবনেই ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। পাশাপাশি সেখানে খাবার দেয়া হবে বলেও মাইকে ঘোষণা দিয়েছেন ইলিয়াস মোল্লা।

ঢাকাটাইমসকে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বস্তিতে থাকা ব্যবহারের কিছুই বের করতে পারেনি অনেকেই। তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। সব কিছু হারানো এসব মানুষের জন্য সাময়িকভাবে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি।’

‘আপাতত তারা যেন মাথা গুজার ঠাঁই পায় তাই আমার নির্মাণাধীন মোল্লা মার্কেটের দ্বিতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত এসব মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাবুর্চি এনে তাদের জন্য রান্নার কাজও চলছে।’

ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘আমি এই বস্তিবাসীদের সাময়িক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এই কাজের সঙ্গে যদি সামর্থবান এগিয়ে আসে তাহলে এসব মানুষের আরও উপকার হবে।’

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সহায়তাও মিলবে বলে জানান ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও অন্যরা মিলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা হলে চালসহ অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ করা হবে।’

বড় আগুন হলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেছেন ইলিয়াস মোল্লা। বলেন, ‘কোনো মানুষের ক্ষতি হয়নি। একজন শুধু আগুনের তাপে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার ঘর ছিল। সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বসবাস করত। তাদের সব কিছুই পুড়ে গেছে।’

মোল্লা মার্কেটে এসে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীরা আগুন থেকে যা কিছু মালামাল বাঁচাতে পেরেছে, সেগুলো পাশে রেখে আশ্রয় নিয়েছে তারা। সেখানে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা করা হয়েছে।

পুরো ভবন জুড়েই চলছিল বিলাপ আর কান্না। ক্রমেই কেঁদে চলছিলেন যারা, তাদের একজন সোবহান মিয়া। তিনি বলেন, ‘আগুন খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়া পড়ায় কিছু নিয়ে বাড়োইতে পারি নাই। খালি হাতে জানডা লইয়া বাইর হইছি। এমপি সাব এই হাতে থাকতে দিছে। কিন্তু এরপর কই থাকমু, কী করুম, তা জানি না।’

ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/টিএ/ডব্লিউবি