বিমানে ছিল রাগীব-রাবেয়া মেডিকেলের ১৩ শিক্ষার্থী
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরছিলেন এই নেপালি শিক্ষার্থীরা।
কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ হোসেন জানান, এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরছিলেন ওই ১৩ শিক্ষার্থী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানি না। তবে প্রাণহানির খবর পাচ্ছি। কতজন মারা গেছে নিশ্চিত নই।’
১১ মেয়ে ও ২ জন ছেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শ্বেতা থাপা, পূর্ণিমা লোহানি, মিলি মাহারজান, আশনা শাক্য, চারু বড়াল, সামিরা ব্যঞ্জকর, আলজিনা বড়াল, আঙ্গিলা শ্রেষ্ঠা, নিগা মাহারজান, প্রিন্সি ধামি, সঞ্জয় মাহারজান, সঞ্জয় পোড়েল ও সারুনা শ্রেষ্ঠা।
এদিকে এ ঘটনার পর আগামীকাল মঙ্গলবার এক দিনের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কৃর্তপক্ষ। নেয়া হয়েছে তিন দিনের শোক কর্মসূচি।
অধ্যক্ষ জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ ধারণ ও কলেজ পতাকা অর্ধনিমিত রাখা। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিপুলসংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসে। বর্তমানে ২৫০ জনের মতো নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে।
আজ সোমবার দুপুরে নেপালের কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমানটি। এতে ৫০ জন যাত্রী মারা যান। ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের খোঁজ নেই।
(ঢাকাটাইমস/ ১২মার্চ/মোআ)