না.গঞ্জে ময়লা স্তূপে মিলল অপহৃত শিশুর লাশ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি শিশু অপহরণের পর তাকে উদ্ধারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী। শিশুটি উদ্ধারে পুলিশ জোড়ালো ভূমিকা না নেয়ায় সেই শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, থানায় পুলিশকে জানানোর পরপরই শিশুটিকে উদ্ধারে কঠোর ব্যবস্থা নিলে শিশুটিকে মরতে হতো না।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় স্কুলছাত্র এলেম অপহরণের এক সপ্তাহ পর একটি ময়লার স্তূপ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এর আগেই শিশু এলেমকে অপহরণের অভিযোগে নিহতের বোন জামাতা বিল্লাল হোসেনকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা করেছিলেন নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক মিয়া।
সোমবার দুপুরে বন্দর নবীগঞ্জ বাগবাড়ি সেতুর নিচের ডোবা থেকে ময়লার আবর্জনার স্তূপ থেকে এলেমের লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত এলেম নবীগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার মুরগি বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। সে নবীগঞ্জ লাল মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহত এলেমের বাবা আবদুর রাজ্জাক জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে তার ছেলে এলেমকে অপহরণ করে একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বারেক কসাইয়ের ছেলে বিল্লাল ও তারই সহযোগী একই এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে সাদ্দাম। এরপর আমি থানায় অপহরণের মামলা করি। ওই মামলায় পুলিশ বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। অপহরণের পরপরই তারা আমার ছেলেকে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে গেছে। আমি খুনি বিল্লাল-সাদ্দামের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহিন মণ্ডল ঢাকাটাইমসকে জানান, শিশু এলেম নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার বাবা বন্দর থানায় একটি মামলা করেছিলেন।
তবে গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই মামলার অভিযুক্ত আসামি বিল্লালকে গ্রেপ্তার করেছি। তার রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)