বিবাহবার্ষিকী পালনে নেপাল গিয়ে মৃত্যুর কোলে
আগামী ১৭ মার্চ ডা. রেজাউনুল হক শাওন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের ছাত্রী তাহিয়া শসির ৬ষ্ঠ বিবাহ বাষির্কী ছিল। শুভ দিনটি পালন করতে যাচ্ছিলেন নেপালের কাঠমান্ডুতে। কিন্তু কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগেই তাদের বহনকারী ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হলে প্রাণ হারান তাহিয়া শসি। আর এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নেপালের ও.এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ডা. রেজাউনুল হক শাওন।
ডা. রেজাউনুল হক শাওনের মামা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার রাতে ঢাকাটাইমসকে জানান, গত পাঁচ বছর আগে মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার অবসর প্রাপ্ত ডা. আলী রেজার মেয়ে তাহিয়া শসি’র সাথে তার চাচাতো ভাই সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে ডা. রেজাউনুল হক শাওনের বিয়ে হয়। আগামী ১৭ মার্চ তাদের বিয়ের ৬ষ্ঠ বছর পূর্ণ হবে। এই দিনটি একটু আলাদাভাবে পালন করতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে নেপালের কাঠমান্ডুতে যাচ্ছিলেন ওই দম্পত্তি। কিন্তু নেপালে বিমান ল্যান্ড করার আগেই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তাহিয়া শসি। গুরুতর আহত হয়ে নেপালের ও.এম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ডা.শাওন।
বিমান দুর্ঘটনার পর সোমবার রাত ১০টার দিকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তাহিয়া শসির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সেখারে শুনসান অবস্থা বিরাজ করছে। বাড়িতে দুইজন কাজের মেয়ে ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। এ সময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে বিমান দুর্ঘটনা খবর টেলিভিশনে দেখেন শসির বাবা, মা। এরপর তারা ঢাকায় চলে যান।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/ইএস)