নিহতদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বিটের সাংবাদিক ফয়সাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১২:৩৪

নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত ফ্লাইটের নিহতদের তালিকায় বেসরকারি চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশনের সংবাদকর্মী ফয়সাল আহমেদের নাম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সোমবার রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে নিহত ও আহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। আহতরা কে কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তা-ও ওই ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে।

স্বজন-সহকর্মীদের সঙ্গে সদা হাস্যোজ্জ্বল, বন্ধুবৎসল প্রিয় সহকর্মী বৈশাখী টেলিভিশনের সংবাদকর্মী ছিলেন আহমেদ ফয়সাল। ভ্রমণপ্রিয় ফয়সাল সুযোগ পেলেই ঘুরতে বের হন দেশে কিংবা বিদেশে। সেই নিয়মেই ছুটিতে থাকা ফয়সাল সোমবার নেপালের উদ্দেশ্যে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটের যাত্রী হয়েছিলেন। তবে যাওয়ার আগে বন্ধু বা সহকর্মী কাউকেই কিছু বলে যাননি।

ফয়সাল আহমেদ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিটে সংবাদ সংগ্রমের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি সংবাদ সংগ্রহে বেশ ভালোও করছিলেন।

ইউএস বাংলার বিএস টু ওয়ান ওয়ান নম্বরের ফ্লাইটটির যাত্রী তালিকায় ২ নম্বরেই আহমেদ ফয়সালের নাম। দুর্ঘটনার পরে আহত যে ২২ জনকে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে আহমেদ ফয়সালকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আহত একজনের ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে আহমেদ ফয়সালের সঙ্গে মিল থাকার কথা বলা হলেও সেটি বৈশাখী টিভির সংবাদকর্মী আহমেদ ফয়সাল কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পরে রাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত বাংলাদেশিদের তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকায় নিহতদের মধ্যে প্রথমেই বৈশাখী টেলিভিশনের নিখোঁজ সংবাদকর্মী ফয়সালের নাম রয়েছে।

গতকাল রাতে বৈশাখী টেলিভিশনের বার্তা প্রধান আশোক চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ফয়সাল আমাদের কাছ থেকে পাঁচদিনের ছুটি নিয়েছিল ব্যক্তিগত কারণের কথা বলে। তবে সে যে নেপাল যাচ্ছে এটা আমাদেরকে জানায়নি।’

‘পরে নেপাল দূতাবাস থেকে পাঠানো তালিকায় ফয়সাল আহমেদ নাম দেখে আমরা ফয়সালের ডুকেমেন্টস যাচাই করে দেখলাম তাদের পাঠানো তালিকার সঙ্গে ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বরের মিল পাওয়া গেছে।’

ফয়সালের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। তার বাবা-মা দুজনেই গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারীর স্বজন।

সোমবার দুপুরে নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় ইউএস বাংলার বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নেপালি কর্তৃপক্ষ।

বিমানটিতে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন করে চীনা এবং একজন মালদ্বীপের যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে ইউএস বাংলা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানান, ১৪ জন বাংলাদেশি দুর্ঘটনার পরও জীবিত রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন বিমানের ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান পরে মারা যান।

ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :