খালেদার জামিন বাতিলে দুদকের আবেদন গেল ফুল বেঞ্চে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর কোনো আদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন নির্ধারণ করে এটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই আদেশ দেন।
এর ফলে সোমবার হাইকোর্টের দেয়া খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন বহাল রইল বলে জানান তার আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। আর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ছিলেন জয়নাল আবেদীন।
এর আগে আজ সকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ওই দিন থেকেই তিনি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত জানান বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন। গত রবিবার আদালতের নথি আসে হাইকোর্টে।
পরদিন সোমবার ধার্য দিনে খালেদা জিয়াকে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।
এতিমদের সহায়তার জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি করে দুদক।
(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/মোআ)