চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে হাজতি পরোয়ানা

প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৮:১৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) বা হাজিরা পরোয়ানা ইস্যু করেছে আদালত। আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই পরোয়ানা জারি ও আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের পক্ষে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পিডব্লিউ ইস্যুর আবেদন করা হয়। এর ওপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পিডব্লিউ ইস্যুর বিরোধিতা করেন। ৭ মার্চের মধ্যে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে জিয়া অরফানেজ মামলায় জামিন পেয়ে যাবেন, পিডব্লুউ ইস্যু করা হলে তার মুক্তি বিলম্বিত হতে পারে- এই কারণ দেখিয়ে আইনজীবীরা পিডব্লিুউ ইস্যুর বিরোধিতা করে আসছিলেন।

মঙ্গলবারও একইভাবে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান অরফানেজ মামলায় সোমবার জামিন মঞ্জুর হয়েছে জানিয়ে পিডব্লিউ ইস্যুর বিরোধিতা করেন। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে। একই বিচারক গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন। ওই দিন থেকে পুরান ডাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়া।

৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলাটিতে বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে

আইডব্লিুউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/মোআ)