মন্ত্রীর বিমান এক ঘণ্টা নেপালের আকাশে চক্কর!

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৫ | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৮:৪৪

ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটটি আকাশে এক ঘণ্টা চক্কর দিয়ে অবতরণ করেছে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে। এ বিশেষ ফ্লাইটটির বিজনেস ক্লাসে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালসহ সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের স্বজন ও বাংলাদেশি সাংবাদিকসহ শতাধিক যাত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-০০৭১ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এটি নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করবে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দেড় ঘন্টার ফ্লাইটটি আরো এক ঘন্টা আকাশে চক্কর দিয়ে পরে ত্রিভুবনে অবতরণ করে। বিমানবন্দরটির এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে অবতরণের বার্তা না পাওয়ায় ফ্লাইটটি অবতরণে এক ঘন্টা দেরি হয় বলে জানা গেছে।

‘নেপালের আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই ল্যান্ড করার অনুমতি পাননি পাইলট। ট্রাফিকের কারণে প্রায় একঘণ্টা নেপালের আকাশে চক্কর দিতে হয়েছে। এরপর নামার অনুমতি মিললে দেখা যায়, ভীষণ কুয়াশা। কুয়াশার মধ্যেই যখন ল্যান্ড করলো, তখন ভয়াবহ একটা বাড়ি খেলাম। এ ধরনের অভিজ্ঞতা কম। তাই বিমান যখন ল্যান্ড করে, তখন বেশিরভাগ যাত্রীই চোখ বন্ধ করে ভয়ে কুঁকড়ে ছিলেন’।

এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে মঙ্গলবার নেপালে যাওয়া নিউজ২৪-এর প্রতিবেদক রামীম হাসান। বিশেষ ফ্লাইটটিতে তিনিসহ বাংলাদেশের প্রায় ৩০জন সাংবাদিক ছিলেন। এই বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রীদের অধিকাংশই ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তে আহত নিহতদের খোঁজখবর নিতে যাচ্ছিলেন।

এই ফ্লাইটে থাকা এক যাত্রী বলছেন, ‘ফ্লাইটটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের আশপাশে রয়েছে বলে ম্যাপে দেখাচ্ছিল। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর যেন আর শেষ হচ্ছিল না। কন্ট্রোল রুমের কোনো বার্তা না পাওয়ায় এক ঘণ্টা ধরে বিমানটি একই স্থানে ঘুরেছে।

এসময় বিমানের ক্যাপ্টেন বলেন যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ, আমরা ইতোমধ্যে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছি। তবে আমাদের এখনও ল্যান্ডিং টাইম (অবতরণের সময়) দেয়া হয়নি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অতিরিক্ত ফ্লাই করে বিমানবন্দরে ল্যান্ড করতে পারব। গতকাল (সোমবার) ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।'

বিমান দুর্ঘটনার পরের দিনের ফ্লাইটে এমন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উৎকণ্ঠিত দেখা যায়। অবশ্য ঘোষণার ১০ মিনিট পর নতুন ঘোষণা দিয়ে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী, ভদ্র মহিলা ও মহোদয়গণ, আমরা ইতোমধ্যে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছি এবং ল্যান্ডিং টাইম পেয়েছি। আমাদের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে অবতরণের কথা থাকলেও অবতরণে সময় দেয়া হয়েছে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট। আশা করছি ১টা ৫০ অথবা দুপুর ২টার মধ্যে আমরা নিরাপদে কাঠমান্ডুতে অবতরণ করব’।

কাঠমান্ডুর আকাশে এক ঘণ্টা চক্কর খেয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৭ মিনিট (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিট) দেড় ঘন্টার ফ্লাইটটি আড়াই ঘন্টা পর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :