মা-স্ত্রী জানেন না তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন আর নেই

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০১৮, ২০:৫৮

ফিরোজা বেগম স্বামীকে হারিয়েছেন পাঁচ বছর হলো। একমাত্র বুকের ধন প্রিয়ককে অবলম্বন করে বেঁচে ছিলেন। ছেলেকে কখনও হাতের নাগাল হতে দেননি। কিন্তু আবার কখনও নারীছেঁড়া ধনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও হননি।

সোমবার সকালে যখন ছেলে ফারুক হোসেন প্রিয়ক বিদায় নিচ্ছিলেন, তখন অজানা শঙ্কার হাতছানি ছিল তার মাঝে। সন্তান প্রিয়ক ও নাতনি প্রেয়ংময়ীর ছায়া যতদূর দেখা যাচ্ছিল ততক্ষণ শুধুই চেয়েই ছিলেন।

দুপুরের পরই টিভির পর্দায় দেখতে পান বিমান দুর্ঘটনার খবর। তবে তিনি এখনও জানেন- তার ছেলে ও নাতনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তারা বেঁচে আছেন।

কিন্তু মায়ের মন বলে কথা, কোন কিছুতেই আর ভরসা হচ্ছে না তার। গতকাল সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই অচেতন হয়ে আছেন। যখন চেতনা আসছে, তার দাবি- আমার বুকের ধনকে তোমরা এনে দাও। একদিনের বেশি পার হলেও এখনো ফিরোজার মুখে ভাত উঠেনি। ছেলের মুখ দেখেই ভাত খাবেন এই মা!

প্রতিবেদক যখন মঙ্গলবার বিকালে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে যান, তখন পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবে ফিরোজা বেগমের কানে পৌঁছায়নি তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসংবাদটি।

স্বজনদের দাবি এ সংবাদটি কীভাবে গ্রহণ করবেন ফিরোজা বেগম- এটা ভেবেই তাদের ভয় হচ্ছে। তাই সংবাদটি দেয়া হচ্ছে না।

ফারুক হোসেন প্রিয়কের শ্বশুর সালাউদ্দিন মাহমুদ খসরুর বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাজির শিমলা গ্রামে। তিনি জানান, ২০১২ সালে ফারুক তার বড় মেয়েকে বিয়ে করেন। তার একমাত্র ছেলে অপি গত বছর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান। এবার তার মেয়েও স্বামী সন্তান হারিয়ে একা হয়ে গেল।

তিনি আরো জানান, তার মেয়ে এনি নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার তার কথা হয়েছে। এনি বারবার তার সন্তান ও স্বামীর খোঁজ নিচ্ছেন, তবে এনিকেও এখন পর্যন্ত স্বামী ও সন্তানের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :