বাঙালি চরিত্র হননের ওস্তাদ
নিজে কিছু পারুক না পারুক, বাঙালি চরিত্র হনন করতে ওস্তাদ। আমাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর মতো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নিরাপদ নয়। ড. ইউনূস (প্রথম নোবেল জয়ী), সাকিব আল হাসান (বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার), মুসা ইব্রাহিম ( প্রথম এভারেস্ট জয়ী), অর্থাৎ দেশের গণ্ডি যারাই ছেড়েছেন, তাদের দুটো গালি দিতে পারলে নিজের মনে শান্তি পাই।
ইনফিরিয়টি কমপ্লেক্সটা আমাদের ভয়াবহ। এখনতো নতুন ইস্যু পাইলট আবিদ আজম আর কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ। আবিদ আজম এই কাঠমান্ডুতে এক শ বারের বেশি ফ্লাই করেছেন। দুর্ঘটনার কারণে তিনি নিজেও জীবন দিয়েছেন। কাল কথা বলেছিলাম পৃথুলা ট্রেইনার বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার আনিসুজ্জামান খানের সঙ্গে। তিনি নিজে জানিয়েছেন পৃথুলা বেশ দক্ষ কো-পাইলট। মানুষগুলো সহানুভূতি না পান, অন্তত তদন্তের আগেই তাদের চরিত্র হনন না করে যেন কেউ থামবেন না!
যে মেয়েটাকে নেপালের গণমাধ্যম বলছে "ডটার অব বাংলাদেশ", তাকে অপমান করাতো দেশকেই অপমান করা। আর মেয়ে হলেই দুইটা গালি দিয়ে যারা মানসিক শান্তি খোঁজেন, তাদের মায়েরা সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে পারেননি। তাই দায়টা ‘মেয়েদেরই।’ সিভিল এভিয়েশন পুরুষ পাইলটের পাশে বসে সঙ্গ দেয়ার জন্য তাকে নিশ্চয় যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেয়নি। যারা ঠেলাগাড়ি চালানোর যোগ্যতা রাখেন না, বৈমানিককে গালি দিতে তাদের বিকৃত আনন্দ দেখতে রুচিতে বাধছে।
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সময় টিভি
লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া