ছবি হয়ে গেলি রে ফয়সাল!!!
আর কোনোদিন তুই হেলমেট হাতে অফিসে ঢুকবি না। সামান্য কিছুতেও নিউজরুমে একসাথে হো হো করে হেসে উঠবো না। সাতটার নিউজের পর আজওয়ায় গিয়ে একটা ডোনেট সবাই মিলে ভাগ করে খাব না। জন্মদিনে কেক খাওয়ানোর সময় সারামুখে ক্রিম মেখে দেয়া, পরে এসে লুচি সবজি না পেয়ে মানিক ভাইয়ের জন্য তুলে রাখা সবজি খেয়ে জয় দার কাছে ধরা পড়া। এগুলো আর কখনও হবে না তোর সাথে। আমরা এটা কীভাবে মেনে নেই রে ফয়সাল!!!
পেশার ভিন্নতার কারণেই সাংবাদিকদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময় কাটাতে হয় অফিসে। এই সুযোগে সহকর্মীরা তখন আর শুধু সহকর্মীই থাকে না, হয়ে উঠে বন্ধু-ভাই বোন, আপনজন আর আত্মার মানুষ। আর এই বন্ধন ছিন্ন করে হঠাৎ করে কেউ যখন দূর আকাশের তারা হয়ে যায়, হাত বাড়ালেই যাকে আর ছোঁয়া যায় না, সেই কষ্ট সইবার শক্তি তখন আর থাকে না কাছের মানুষগুলোর।
ফয়সাল তোকে হারিয়ে বৈশাখী পরিবার শোকে স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ সহকর্মীরা।
যেখানেই থাকিস খুব ভাল থাকিস ভাইয়া। বিধাতার কাছে প্রার্থনা ফয়সালের পরিবার যেন এই কঠিন সত্য সইবার মত শক্তি পায়।
লেখক: সিনিয়র রিপোর্টার, বৈশাখী টেলিভিশন