অধিনায়কের বিশ্লেষণে হারের চার কারণ
এবারও হারোনো গেল না ভারতকে। মুশফিক একাই রীরত্ব দেখিয়ে নট আউট থাকলেন ৭২ রানে। সঙ্গে একজন ৩৫-৪০ করলেই হয়ে যেত। ভারতকে হারানোর সুযোগ আবারও হাতছাড়া। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আসলেন বিষন্ন মনে। তার বিশ্লেষণে হারের যে কারণ তা তুলে ধরা হলো নিচে
শেষ দিকের বোলিং ও টপ অর্ডার ব্যাটিং
আজকে সব মিলিয়ে যদি পারফরম্যান্স দেখেন, বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছিল প্রথম ৮-১০ ওভার। শেষ দিকে ২-৩টি ওভারে বেশি রান হয়েছে। সেখানে ১০টি রানও কম দিতে পারলে ভালো হতো। ব্যাটিংয়েও ১৬০ রানের মধ্যে মুশফিক একাই করেছেন ৭২। টপ অর্ডারে আরেকজন ভালো করতে পারলে ব্যবধান গড়া যেত। সেটি আমরা পারিনি।
শুরুতে তাড়াহুড়ো
রোহিত শুরুতে অনেক সময় নিয়েছে। ইনিংস আস্তে আস্তে গড়েছে। খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমরা হয়ত শুরুতে খুব তাড়াহুড়ো করেছি। পাওয়ার প্লেতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি। ওরা পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারায়নি। এই জায়গাগুলোয় উন্নতি করতে হবে আমাদের। আরও পরিষ্কার ভাবনা ও পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এ সব বিষয়ে উন্নতি করতে হবে।’
আরেকজন দাঁড়ালেই হতো
উইকেট যাই থাক আমার মতে, ওই রান তাড়া করার মতই ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। কিন্তু মুশি ছাড়া আর কেউ ভালো করতে পারেনি। তামিম যদিও দ্রুত রান নিয়ে শুরু করেছিল, সে ভালো শুরু করেছিল। কিন্তু আরেকজন যদি দ্রুত ২৫-৩০ রানের ইনিংস খেলতে পারত, তাহলে অন্যরকম হতো।’
নিজের উপর দায়
আগের ম্যাচে টপ অর্ডার ভালো করেছে বলেই জিতেছি। আজ হয়নি।মাঝে আমার আর মুশফিকের মধ্যে জুটিটা বড় করা দরকার ছিল। আমি বাজে বলে আউট হয়েছি। ওটাকে ছক্কা মারা উচিত ছিল। তবে এই ম্যাচ নিয়ে আর বেশি না ভেবে পরের ম্যাচটা নিয়ে ভাবা উচিত। যে জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার, সেগুলো নিয়ে কাজ করলে, পরিকল্পনা মেনে খেলতে পারলে, ভালো কিছু সম্ভব।
গতকাল ভারতের কাছে ১৭ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ভারত করেছিল ৩ উইকেটে ১৭৬। জবাবে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৫৯। শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও এক পর্যায়ে জয়ের অবস্থানেই ছিল টাইগাররা।১৪ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ১০৪, আর বাংলাদেশের ১০৯। ১৫ ওভার শেষে ভারত ছিল ১১৭ রানে। বাংলাদেশ ১১৬।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ডিএইচ)