তিতাস নদীর মোহনায় পুণ্যস্নানে মানুষের ঢল

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৮:৩৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিতাস নদীর মোহনায় কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে সনাতন ধর্মালম্বীদের পুণ্য স্নানোৎসবে ঢল নেমেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ পুণ্যস্নানের পাশাপাশি খরমপুর কেল্লা শাহর মাজার এলাকায় মেলা চলে দিনব্যাপী।

জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বশেষ রাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর তিতাস নদীর মোহনায় পুণ্যস্নানের প্রচলন করেছিলেন।

আগতরা জানান, পাপ মোচন ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গলার্থে তারা এ ঘাটে স্নানে নামেন। যেখানে তাদের পূর্ব বংশধররা তিতাস নদীর ওই মোহনায় স্নানোৎসব পালন করে আসছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কালীবাড়ি থেকে স্নান করতে আসা দ্বীপিকা রায়, অঞ্জলী দেবী বলেন, পুণ্য লাভের আশায় এবং স্বামী-সন্তানের কল্যাণার্থে স্নান করতে এখানে এসেছি। তাছাড়া প্রয়াত মা-বাবার মঙ্গলার্থে পুণ্যস্নান করব।

সরাইল উপজেলার চুন্টা এলাকার বাসিন্দা পুষ্পিতা রাণী দাস বলেন, আজকে পুণ্য তিথী। তাই জা, বোন ও বোনের মেয়েসহ আমরা ১৬ জন স্নানের উদ্দেশ্যে বুধবারই আখাউড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে এসেছি। যা পাপ আছে তা তিতাস নদীতে বিসর্জন দিয়ে যাব।

তাদের মতে, শত শত নারী-পুরুষ তাদের মনের বাসনা পূরণ ও নিজেকে পবিত্র হওয়ার আশায় তিতাস নদীর ওই স্থানটিতে স্নান করতে আসেন।

এদিকে পুণ্যস্নানোৎসব উপলক্ষে কেল্লা শহীদের মাজার এলাকাজুড়ে বসেছে মেলা। মেলায় কৃষিজ পণ্যসহ মাটির জিনিসপত্র, বাঁশ-বেত সামগ্রী, খেলনা, মুড়ি-মুড়কি, হাঁড়ি-পাতিল, দা-ছুরি-চাকুসহ গৃহস্থালি জিনিসপত্রের নানা পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। মেলা থেকে মিষ্টি, গুড়ের জিলাপি, মঠ-তিল্লাই কিনে ফিরছে আগতরা। যেন উৎসবে রূপ নিয়ে মেলার মাঠ। শিশু-কিশোরসহ বড়রাও দোকানে দোকানে ঘুরে ক্রয় করছেন পছন্দের জিনিস। এ মেলা রাত পর্যন্ত চলে।

সরেজমিনে সকাল ৮টার দিকে তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, খড়মপুর মাজার কমিটির পক্ষ থেকে তিতাস পাড়ে কড়ই তলা পুণ্যস্নান ঘাটে পেন্ডেল সাটানানো হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। মেলার মাঠে কথা হয় ছোট্ট শিশু রূপকথা ও তোড়ার সাথে। তাদের হাতে মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন খেলনা। বাসায় খেলার জন্য এসব কিনেছে ওরা।

খরমপুর মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ নেওয়াজ খান খাদেম বলেন, এ স্নান ও মেলা উপলক্ষে মাজার এালাকায় হিন্দু-মুসলিমদের মিলন ঘটে। দূর-দুরান্ত থেকে স্নান ও মেলায় আগতদের যাতে নির্বিঘ্নে অংশ নিতে পারেন সেজন্য প্রতিবছরই কমিটির পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনও অনেক সহযোগিতা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :