হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাই চাইলেন বিচার
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতাদের ওপর হামলার বিচার চেয়েছেন ঘটনার সময় উপস্থিত এক ছাত্রলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাহারের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিজের এই অবস্থান তুলে ধরেন ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন।
গত শনিবার এই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনেই কোটা আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা হয়। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয় সেদিন।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের চেনা মুখরাই এই হামলায় জড়িত বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। এমনকি সেই হামলার বিচার চাওয়া জয়নুল আবেদীনও সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে ছবি এসেছে সামাজিক মাধ্যমে।
‘আপনি হামলাকারীদের বিচার চান কি না’- জয়নুলের কাছে এমন প্রশান ছিল একজন গণমাধ্যমকর্মীর। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিচার চাই। তবে ক্যাম্পাসে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তাহলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।’
জয়নুল আবেদীনকে প্রশ্ন করার সময় ছাত্রলীগের উপ- কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চিৎকার করে মিডিয়া কর্মীদের বলেন, ‘এক সময় জামায়াত- শিবিরকে মিডিয়া পজেটিভভাবে উপস্থাপন করেছে কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে তারা ঠিকই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং মিডিয়া ও তাদের খারাপভাবে উপস্থাপন করেছে।’
তবে সাদ কেন বা কোন প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেছিলেন সেটি সংবাদকর্মীদের কাছে স্পষ্ট নয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কোটা থাকবে না। গত ২৭ জুলাই তিনি আবারও সংসদে একই কথা বলেন।
তবে একই রাতে প্রজ্ঞাপনের দাবি জানিয়ে আসা কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁন এক ভিডিও বার্তা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দেয়। ‘রক্ত গরম হয়ে যাওয়া’ রাশেদ সেদিন বলেন, ‘মনে হচ্ছে, তার বাপের দেশ, সে একাই দেশের মালিক, ইচ্ছামতন যা ইচ্ছা তাই বলবে আর আমরা কোন কথা বলতে পারব না।’
এই কটূক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ছাত্রলীগ নেতা। আর রাশেদকে গ্রেপ্তার করে নেয়া হয় রিমান্ডে। পাশাপাশি কোটা আন্দোলনকারী নেতাদের ওপর হয় হামলা।
ঢাকাটাইমস/০৫জুলাই/এনএইচএস/ডব্লিউবি