দাদির বিরুদ্ধে শিশু চুরির অভিযোগ গৃহবধূর
ফরিদপুরে দুই বছর ছয় মাস বয়সী এক দুগ্ধপোষ্য শিশুকে চুরির অভিযোগ উঠেছে দাদির বিরুদ্ধে। শহরের হাবেলী গোপালপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে থানায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিশুর মা।
আবরার নামে ওই শিশুর মা লুবনা ইয়াসমিন জানান, তার শ্বাশুড়ি সালেহা বেগম (৬৫) ঢাকায় ননদের বাড়িতে থাকেন। ফরিদপুরে এসে ৩ জুলাই রাতে আবরারকে নিয়ে পাশের ননদের ঘরে শুতে যান শাশুড়ি। পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে ননদের ঘরে গিয়ে দেখেন কেউ নেই।
এসময় ফোন করলে সালেহা বেগম তাকে জানান, আবরারকে নিয়ে তিনি ঢাকায় রওনা হয়ে গেছেন। বর্তমানে তারা ঢাকার ৩০, সিদ্বেশ্বরী সড়কের ঠিকানায় মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন।
কি কারণে এই শিশুকে এভাবে মা-বাবার অজান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে উল্লেখ করে লুবনা বলেন, আমার ননদের কোন ছেলে সন্তান নাই। ননদের কোলে তুলে দিতেই বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে গেছেন তিনি।
লুবনা ইয়াসমিনের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন শহরের হাবেলী গোপালপুরের মৃত তোজাম্মেল হোসেনের একমাত্র পুত্র। রোকসানা হোসেন তনু নামে তার আরেক বোন রয়েছে।
শিশু আবরারকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সালেহা বেগম বলেন, বাচ্চাকে প্রতিপালন করার মতো যোগ্যতা ওদের নেই। বাচ্চাটি এ্যালার্জিতে ভুগছে। কিন্তু তার কোন চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে ফেলে রেখেছে। শিশুটিকে ওরা মেরে ফেলবে।
ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার ছেলে তার জীবন নষ্ট করেছে। এখন আমার নাতির জীবনও ধ্বংস করতে চাইছে। এজন্য নাতিকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। নাতিকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরত দেয়ার কথা প্রথমে বললেও পরে তিনি বলেন, আমি আমার নাতিকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব।
মায়ের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি বাচ্চার চিকিৎসা করছিলাম- তার ট্রিটমেন্টের সকল কাগজপত্র রয়েছে। মা ও বোনের স্বেচ্ছাচারিতায় আমার বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। ঢাকায় ওনাদের বাড়িতে নিয়মিত ঝগড়া হয়। আমি আমার সন্তানকে আমার কাছে ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে জানতে কোতয়ালি থানার ওসি এএফএম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)