জমি দখলের চেষ্টা, বৃদ্ধার আকুতি

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০১৮, ১৯:২০

ময়মনসিংহ শহরের ভাটি কাশর আকুয়া মসজিদ এলাকায় বাসিন্দা মৃত শহর আলীর স্ত্রী শতবর্ষী জামেলা বেওয়া কয়েক যুগ ধরে ধরে তার স্বামীর ভিটায় মেয়ে ও পরবর্তীতে নাতি-নাতনিদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি জামেলা বেওয়া তার ভিটার জমির নাম খারিজ (মিউটেশন) করার জন্য ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি অফিসে যান। এই ভূমি অফিসেই দেখা হয়, ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ধলি গ্রামের বাসিন্দা আনিসুল হক আকন্দের (অলি) সাথে। আনিসুল হক আকন্দ (অলি) বৃদ্ধাকে বলেন- ‘আমি হালুয়াঘাট উপজেলার ধোরাইল ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব)। আমি আপনার জমির নাম খরিজ করে দেব।’

বৃদ্ধাকে ওই দিন সদর ভূমি অফিস থেকে কৌশলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন নায়েব অলি। এর কয়েক দিন পর অলি কিছু কাগজ-পত্র নিয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে আসেন। জমি খারিজের কথা বলে বৃদ্ধার নিকট থেকে কিছু সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন।

সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার একমাস পর অর্থাৎ গত ২ জুলাই সোমবার নায়েব অলি ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত নিয়ে এসে বৃদ্ধার ঘর ভাঙচুর, লাঠি দিয়ে মারধর, তাকে গলা টিপে হত্যা ও তার জমি বেদখলের চেষ্টা করেন। অলি ও তার বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়ে বৃদ্ধার সঞ্চিত ফিতরায় পাওয়া ৭ হাজার টাকাও লুট করে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী নায়েবের এ কর্মকাণ্ড দেখে পুলিশে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে অলি ও তার দলবল পালিয়ে যায়।

পরদিন ৩ জুলাই জামেলা বেওয়া বাদী হয়ে আনিসুল হক আকন্দের (অলির) বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন।

এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে নায়েব অলি জানান, ১২ লাখ টাকায় বৃদ্ধার ওই জমি আমি ক্রয় করেছি। আমার বাড়ি আমি ভাঙচুর করব, না কি করব- এটা আমার ব্যাপার।

বৃদ্ধা জামেলা জানান, নায়েবের কবল থেকে আমাকে বাঁচান।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এমডি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :