বুলবুলকে বুকে টেনে নিলেন লিটন
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নির্বাচনী টকশোর দৃশ্যধারণে হাজির হয়েছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী।
অনুষ্ঠান শেষে বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দ্রুত হেঁটে চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সামনে এগিয়ে গিয়ে বুলবুলকে জড়িয়ে বুকে টেনে নিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর তার সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
শুক্রবার বিকালে রাজশাহী কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র। আর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী মেয়র। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই দুই প্রার্থী একে-অপরের বিরুদ্ধে কথা বললেও দেখা হওয়ায় বুলবুলকে ঠিকই বুকে টেনে নিলেন লিটন।
অথচ এর আগে প্রায় ৫০ মিনিটের টকশোতেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা নিজেদের সফলতা ও অপরের ব্যর্থতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে উপস্থাপক খায়রুজ্জামান লিটন ও বুলবুলের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে নির্বাচনের পরও এমনই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখার জন্যে আহ্বান জানিয়ে টকশো শেষ করেন।
টকশোতে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি মেয়র থাকলেও রাজশাহীবাসীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি, যাতে রাজশাহীর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প পাওয়া যায়। কিন্তু সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র হয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী কয়েকবার রাজশাহীতে এলেও বুলবুল তার সঙ্গে দেখা করেননি। উন্নয়নের জন্যে কোনো প্রকল্প ও বরাদ্দ চাননি। এতে করে পিছিয়েছে রাজশাহী।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কথা না বলেই দ্রুত হাঁটতে শুরু করেন বুলবুল। এ সময় তার দিকে কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে কোলাকোলি করেন লিটন। এ সময় উপস্থিত সবাই খায়রুজ্জামান লিটনের প্রশংসা করেন।
এর আগে, ২৮ জুন সিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বুলবুলের অসুস্থ সন্তানকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন লিটন। তারও আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাসায় দেখতে যান লিটন।
(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/আরআর/এলএ)