নির্বাচনে আসবে সব দল, ভোট হবে ‍সুষ্ঠু: দোলন

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৪:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত সব দল অংশ নেবে এবং সেটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন কৃষক লীগের সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলন।

শনিবার রাতে বেসকারি টেলিভিশন নিউজ টুয়েন্টিফোরের টকশোতে এ কথা বলেন ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী।

কৃষক লীগ নেতা বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অংশ নেওয়া নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক আছে। যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। কারণ তাদের অবস্থা দেখে তেমনটাই বোঝা যাচ্ছে।’

‘গত পরশু বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে দেখতে পেয়েছি ৩০০ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা তারেক রহমানের টেবিলে। তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিএনপির মহাসচিবের একটি বক্তব্যে দেখলাম তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। প্রার্থী বিকল্প প্রার্থী এই ধরনের বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে।’

গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নে ঢাকাটাইমস ও এই সময় সম্পাদক বলেন, ‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো কোনো অনিয়ম হয়নি। আমি বিষয়টিকে সেভাবেই দেখছি। বিএনপি কথায় কথায় যেভাবে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেটা কিন্তু সেখানে মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলে কোনো প্রমাণ পাইনি। মূল কথা হলো মানুষ উন্নয়ন চায়।’

‘খুলনায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল, একই অবস্থা গাজীপুরে। গাজীপুরে মেয়র মান্নানের প্রভাবিত যেসব নেতাকর্মী, তাদেরকে কি কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় দেখেছে? কাদের গনি চৌধুরী ঢালাওভাবে বলে দিলেন বিএনপির এজেন্টদের ময়মনসিংহ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা শুরু থেকে প্রচারেই ছিলেন না।’

আসন্ন রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করছেন কৃষক লীগের এই সহসভাপতি।

নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির দাবি নিয়ে দোলন বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সেই ব্যবস্থাটি আছে কি না? সেটি নেই। সেটি যদি না থাকে বিএনপি সেই নির্বাচনে কি অংশ নেবে? যদি নেয় তাহলে আর প্রশ্ন নেই। সেই বাস্তবতা আর নেই।’

‘সেই বাস্তবতা বলতে বোঝাতে চাচ্ছি, প্রথমত সরকার দলের তো আগে সেই বিষয়টি মেনে নিতে হবে। সরকার কিন্তু এই বিষয়ে তারা বলছে সংবিধানে যা আছে আমরা তার বাহিরে যাব না। সরকারকে তাদের দাবি মানাতে হলে সরকারকে বাধ্য করতে হবে কিন্তু বিএনপির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। বিএনপির সেই অবস্থা নেই যে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করবে।’

‘বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন হোক এটি সবাই চায়। এই সরকারও চায় অনান্য রাজনৈতিক দলগুলোও চায়। সেই নির্বাচনটি কীভাবে হবে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে কতখানি প্রভাব ফেলবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।’

বাম রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে কৃষক লীগের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে বাম ঘরনার রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কী? ভোটের রাজনীতিতে তারা কতখানি ভূমিকা রাখে? যারা স্বাধীনতার পর থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত কোনো ফল পায়নি।’

৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনতো কেউ চায় না। আমরা চাই না, বাংলাদেশের মানুষ চায় না। সর্বশেষ যে নির্বাচনটি হয়েছে, সেটি একতরফা হতো না যদি বিএনপি সেই নির্বাচনে অংশ নিত। তারা অংশ নেয়নি, জামায়াতও অংশ নেয়নি।’

গতকাল জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আত্মপ্রকাশ করল নতুন সংগঠন ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ’। সংগঠটি প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের একটি চেষ্টা থাকে ভোটের আগে পরে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিশেষ রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শঙ্কা থেকে যদি দেশের বিশিষ্ট জনেরা যদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সম্প্রীতিকে দৃঢ় করার চেষ্টা করেন সেটা নিয়ে সাধুবাদ জানানো উচিত সবার।’

(ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/এনআই/ডব্লিউবি)